ওয়াক্সিং ত্বকের জন্য কেনো ভালো?

শরীরের অবাঞ্ছিত লোম অপসারন করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ও শ্রেয় হল ওয়াক্সিং। কেউ পার্লারে গিয়ে, কেউ বা আবার বাড়িতে বসেই ওয়াক্সিং করে নেন অবাঞ্ছিত লোম দূর করার জন্য। ওয়াক্সিং করালে সামান্য ব্যাথা লাগে এটা ঠিকই কিন্তু এর অনেক সুবিধাও রয়েছে তাছাড়া বেশ অনেকদিন পর্যন্ত নতুন লোম ও গজায় না। আজ আমরা দেখে নেব Unwanted Hair Removal হিসেবে ওয়াক্সিং-এর সুবিধা গুলো কি কি। তাহলে আসুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক –

১। এক্সফলিয়েট – ওয়াক্স স্কিনে লাগানোর পরই তা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় এবং ত্বকের মরা চামড়া গুলো দূর করে ত্বককে সুন্দর করে তোলে। ওয়াক্সিং ত্বককে এক্সফলিয়েট করতে সাহায্য করে। ত্বক রাখে নরম ও মসৃণ। তবে খেয়াল রাখবেন ওয়াক্সিং করার পর ময়েশ্চারাইজার লাগাতে একদম ভুলবেন না।

২| নতুন লোম ধীরে ধীরে গজায় – ওয়াক্সিং যেহেতু ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে লোম অপসারণ করে তাই নতুন লোম গজাতে ২-৩ সপ্তাহ সময় লাগে। এছাড়াও ওয়াক্সিং-এর পর নতুন লোম আগের তুলনায় মসৃণ গজায়। শেভিং -এ কেটে যাওয়ার ভয় থাকে, যাদের সংবেদনশীল স্কিন তাদের র‍্যাশ বের হওয়ার ও আশঙ্কা থাকে কিন্তু ওয়াক্সিং একদমই নিরাপদ পদ্ধতি। 

ওয়াক্স-এর কিন্তু আবার রকমফের রয়েছে। রেগুলার ওয়াক্স, চকলেট ওয়াক্স, ব্রাজিলিয়ান ওয়াক্স ইত্যাদি। দেখে নিন, কোন ওয়াক্স কীরকম –

১। নর্মাল বা রেগুলার ওয়াক্স – অন্যান্য ওয়াক্সিং-এর তুলনায় এটি অল্প কম খরচসাপেক্ষ। সব ধরণের ত্বকের অধিকারীরাই এটি ব্যবহার করতে পারবেন। যাঁদের ত্বক সেনসেটিভ বা সংবেদনশীল, তাঁদের জন্য এই ধরণের ওয়াক্সিং সুবিধামূলক নয়। কারন তাঁদের অনেকসময় ত্বকে লালচে ছোপ পড়ে যায় অথবা র‍্যাশও বেরিয়ে যায় ওয়াক্সিং-এর পর।

২| চকলেট ওয়াক্স – চকোলেট ওয়াক্স নর্মাল ওয়াক্স-এর তুলনায় একটু দামি হয়। যে-কোনও ধরনের ত্বকের জন্য এই ওয়াক্স উপযোগী। ছোট-ছোট লোম দূর করার জন্য চকোলেট ওয়াক্স বেশ কার্যকরী। যাঁদের ত্বক খুব নরম তাদের জন্য এই ধরনের ওয়াক্স ভীষণ ভালো। চকোলেট ওয়াক্সে তুলনামূলক কম ব্যথা লাগে এবং এর তেমন কোনও সাইড এফেক্ট ও নেই। সব ধরনের স্কিন টাইপের অধিকারীরাই এই চকোলেট ওয়াক্স ব্যবহার করতে পারেন।

লেখাটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। পড়ে ভালো লাগলে লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট অবশ্যই করবেন।

রাখি বন্ধন উৎসব উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা বার্তা ও উপহার

রাখি বন্ধন উৎসব কি এবং কবে পালিত হয়?

উৎসবের মূল মন্ত্রই হল মিলন এবং ঐক্যের সুর। রাখি বন্ধন হল সেই রকমই একটি পারিবারিক মিলনের উৎসব।  শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমার দিনে রাখি বন্ধন উৎসব পালিত হয়। বোন কিংবা দিদি এই দিনে তার ভাই বা দাদার হাতে রাখির সুতো বেঁধে দেয়। রাখি কথাটি মূলত এসেছে ‘রক্ষা’ থেকে। সেইজন্য হিন্দি ভাষায় একে রক্ষাবন্ধন ও বলা হয়। এই রাখি বন্ধনের মধ্যে থাকে ভাই এর জন্য বোনের অগাধ ভালোবাসা ও আন্তরিক শুভকামনা, উল্টো দিকে ভাই এর মনে থাকে বোনকে কে রক্ষা করার দায়ীত্ব ও কর্তব্য বোধ। এই বন্ধন এক এমন শক্তির প্রতিরূপ যা সকল বাধা বিঘ্নতা দূর করে ভাই ও বোন কে জীবনে এগিয়ে চলার সাহস যোগায় এবং জীবন যুদ্ধে জয় লাভ করতে সাহায্য করে।

ভাই ও বোন কে পাঠান কয়েকটি স্পেশাল রাখি বন্ধন শুভেচ্ছা:

রাখি বন্ধন উৎসবটিকে আরও জমজমাট করে তোলার জন্য রইল এই উৎসব  উপলক্ষ্যে কয়েকটি স্পেশাল রাখি বন্ধন শুভেচ্ছা বার্তা। যেগুলো আপনি এই বিশেষ দিনে আপনার ভাই ও বোনেদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

১। এই বিশ্বের সবচেয়ে সেরা ভাইয়ের জন্য রাখির অনেক শুভেচ্ছা।

২। রাখি বন্ধনের এই শুভ মুহূর্তে আমি আমার প্রিয় বোনকে প্রতিশ্রুতি দিতে চাই যে জীবনের সকল খারাপ পরিস্থিতিতে আমি তার পাশে দাঁড়াব, কখনই তোকে একা ছেড়ে দেবো না। হ্যাপি রাখি।

৩। রাখি বন্ধনের এই বিশেষ দিনে আমার সমস্ত ভালোবাসা আর স্নেহ তোর জন্য, শুভ রাখি।

৪। কাছে দুরে যেখানেই থাকি দাদা আমার এই রাখি তোকে রক্ষা করবে, সব বিপদ কাটাবে ও আমার কথা মনে করাবে, শুভ রাখি দাদা ভালো থাকিস।

৫। ঈশ্বরকে আমি আমি অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই যে তিনি আমাকে একটা এত যত্নবান বোন্ উপহার দিয়েছেন। তিনি যেন সবসময় আমার বোনকে সুখী রাখেন। শুভ রাখি বন্ধন বোন। 

রাখি স্পেশাল কিছু উপহার:

১। ভাই-বোন দু’জনেই সেইদিন ছুটি প্ল্যান করে সপরিবারে পছন্দের কোনো জায়গা কিংবা কাছে পিঠে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন। তাতে রাখির দিনটা কিন্তু কোনভাবেই মন্দ কাটবে না।

২। ভাই-বোন দুজনে মিলে পছন্দের কোনো সিনেমা দেখতে পারেন।

৩। ঘড়ি, চকলেট, বই, পার্সোনালাইজড টি-শার্ট, ব্যাগ… ইত্যাদি এ ধরনের উপহার ও দিতে পারেন।

রাখি বন্ধন স্পেশাল কয়েকটি হিন্দি গান:

১। বেহেনা নে ভাই কে কালাই পে

সিনেমা – Resham Ki Dor

২। ফুলো কা তারো কা সব কা কেহেনা হে

সিনেমা – Hare Rama Hare Krishna

৩। ভাইয়া মেরে রাখি কে বন্ধন

সিনেমা –  Chhoti Behan

৪। মেরে ভাইয়া মেরে চন্দা

সিনেমা – Kajal

৫। রঙ্গ বিরঙ্গা রাখি

সিনেমা – Anpadh

লেখাটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। পড়ে ভালো লাগলে লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট অবশ্যই করবেন।

বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা বার্তা

বন্ধুত্বের জন্য আলাদা কোনো নির্দিষ্ট দিন হয় না বছরের প্রত্যেকটি দিনই বন্ধুত্বের দিনে ভরা। একথা ঠিকই তবুও আমরা বছরে একটা দিন বন্ধুত্ব দিবসের জন্য বেছে নিয়ে থাকি। তাই তো প্রতি বছর আগস্ট মাসে সারা দুনিয়া জুড়ে পালিত হয় বন্ধুত্ব দিবস। “বন্ধু” এই শব্দটির মাঝে মিশে রয়েছে নির্ভরতা আর বিশ্বাস। বন্ধুত্ব মানেই নিজের সবটুকু দিয়ে আগলে রাখা, দুঃখ – হাসি – কান্না ভাগ করে নেওয়া, হৃদয়ের ভালোবাসা দিয়ে মন খুলে সব জমানো কথা বলা। 

এই বন্ধু দিবসে আপনিও জানান আপনার প্রিয় বন্ধুদের বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা। রইল কয়েকটি সেরা বন্ধুত্বকে নিয়ে বানী, শুভেচ্ছা ও বাংলা – হিন্দি নানা গানের সম্ভার।

কয়েকটি সেরা বন্ধুত্বের বাণী

বন্ধুত্ব নিয়ে মহান ব্যাক্তিত্ব দের লেখা কয়েকটি সেরা উক্তি, যা আপনার বন্ধুত্বকে আরও মজবুত করবে।

১। “ যদি তুমি মানুষকে বিচার করতে যাও তাহলে ভালবাসার সময় পাবে না”

মাদার তেরেসা

২। “কখনো কোন বন্ধুকে আঘাত করো না, এমনকি ঠাট্টা করেও না”
– সিসেরো

৩। “অন্ধকারে একজন বন্ধুর সঙ্গে হাঁটা আলোতে একা হাঁটার চেয়ে ঢের ভালো”

– হেলেন কেলার

৪। “দু’টি দেহে একটি আত্মার অবস্থানই হলো বন্ধুত্ব”
– এরিস্টটল

৫। “আমার ভালো বন্ধুদের কথা মনে করে আমি যতোটা সুখী হতে পারি, অন্য কোনোভাবে ততোটা সুখী হতে পারি না”
– উইলিয়াম শেক্সপিয়র

কয়েকটি জনপ্রিয় বাংলা বন্ধুত্বের গান

বন্ধু দিবসে আপনাদের জন্য রইল বন্ধুত্ব নিয়ে বাংলা ভাষায় গাওয়া কয়েকটি জনপ্রিয় গান। এগুলো চাইলে আপনি আপনার বন্ধু কে পাঠাতে পারেন। 

১। “বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িত গেলাম, দেখা পাইলাম না”
গানটি গেয়েছেন – রুনা লায়লা

২। “শত্রু তুমি বন্ধু তুমি, তুমি আমার সাধনা তোমার দেয়া আঘাত, আমায় দেয় যে মধুর বেদনা, তুমি আমার সাধনা”

গানটি গেয়েছেন – আব্দুল জব্বার

৩। “ও বন্ধু তোকে মিস করছি ভীষণ, তোকে ছাড়া কিছুই আর জমে না এখন”
গানটি গেয়েছেন – পার্থ বড়ুয়া

৪। “বন্ধু – পুরো পৃথিবী একদিকে আর আমি অন্যদিক”

গানটি গেয়েছেন – তপু

৫। “তুমি আমার পাশে বন্ধু হে”

গানটি গেয়েছেন – কনক ও কার্তিক

সেরার সেরা কয়েকটি হিন্দি বন্ধুত্বের গান

১। “অতরঙ্গি ইয়ারি”
সিনেমা – ওয়াজির  

২। “ইয়ারিয়া”

সিনেমা – এ বি সি ডি

৩। “জানে কিউ”

সিনেমা – দোস্তানা

৪। “নাঙ্গা পুঙ্গা দোস্ত”
সিনেমা – পি কে

৫। “দিল চাহতা হে হাম না রহে কভি ইয়ারো কে বিন”

সিনেমা – দিল চাহতা হে

লেখাটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। পড়ে ভালো লাগলে লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট অবশ্যই করবেন।

এই Friendship Day তে বন্ধুকে দিন বন্ধুত্ব দিবসের সেরা উপহার

বন্ধুত্বের জন্য আলাদা কোনো নির্দিষ্ট দিন হয় না বছরের প্রত্যেকটি দিনই বন্ধুত্বের দিনে ভরা। একথা ঠিকই তবুও আমরা বছরে একটা দিন বন্ধুত্ব দিবসের জন্য বেছে নিয়ে থাকি। তাই তো প্রতি বছর আগস্ট মাসে সারা দুনিয়া জুড়ে পালিত হয় বন্ধুত্ব দিবস। “বন্ধু” এই শব্দটির মাঝে মিশে রয়েছে নির্ভরতা আর বিশ্বাস। বন্ধুত্ব মানেই নিজের সবটুকু দিয়ে আগলে রাখা, দুঃখ – হাসি – কান্না ভাগ করে নেওয়া, হৃদয়ের ভালোবাসা দিয়ে মন খুলে সব জমানো কথা বলা। 

এই বন্ধু দিবসে আপনিও  আপনার প্রিয় বন্ধুদের বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছার সাথে সাথে কিছু উপহার পাঠাতে পারেন।  রইল কয়েকটি সেরা Friendship Day Gift Ideas শুধুমাত্র আপনাদের জন্য।

১। ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ড (Friendship Band)

বন্ধু দিবস মানে ফ্রেন্ডশিপ ডে-তে ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ড উপহার তো দিতেই হয়। একটা কেমন নস্টালজিক ব্যাপার আছে এতে! আপনি নিজের হাতে (DIY Gift) তৈরি করেও পার্সোনালাইসড ট্রেন্ডি ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ড উপহার দিতে পারেন। 

২। ফ্রেন্ডশিপ কার্ড (Friendship Card)

ফ্রেন্ডশিপ ডে তে ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ড কার্ড উপহার দেবেন না এটা ঠিক কেমন যেন মানায় না। তাই গ্রিটিংস কার্ড ও সাথে ব্যান্ড উপহার দিন। আপনার প্রিয় বন্ধুর অবশ্যই পছন্দ হবে।

৩। অ্যারোমা ক্যান্ডেলস (Aroma Candles)

সেনটেড অ্যারোমা ক্যান্ডেলস বডি  রিল্যাক্সেশনে ভীষণ কাজে দেয়। সারাদিন খাটাখাটনির পর বাড়িতে এসে অ্যারোমা ক্যান্ডেল জ্বালিয়ে বসলে  তার মধুর সুগন্ধেই সারাদিনের ধকল উধাও হতে বাধ্য!

৪। কফি মাগ (Coffee Mug)

আপনি আপনার বন্ধুকে নিত্য নতুন ডিসাইন করা  কিংবা পার্সোনালাইসড সুন্দর কফি মাগ ও উপহার দিতে পারেন। 

৫। পার্সোনালাইসড ফোন কভার  (Personalised Phone Cover)

ফোন কভার হলো সেরা অপশন। তাও যদি আবার পার্সোনালাইসড হয় তাহলে তো ভালোলাগা নিয়ে কোনো প্রশ্নই থাকবে না। 

৬। ফিটনেস ব্যান্ড (Fitness Band)

আপনার বন্ধু কি স্বাস্থ্য সচেতন? তা হলে উপহার হিসেবে দিতে পারেন ফিটনেস ব্যান্ড। সারাদিনে কত ক্যালোরি বার্ন করলেন জেনে নেওয়ার জন্য এটি হলো আদর্শ একটি উপহার।

৭। এগুলো বাদেও আপনি হাত ঘড়ি, বই, নোটবুক, পারফিউম সেট, লাগেজ ট্যাগ…ইত্যাদি উপহার হিসেবে দিতে পারেন।

লেখাটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। পড়ে ভালো লাগলে লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট অবশ্যই করবেন।

ত্বক ও চুলের যত্নে বাদাম তেলের উপকারিতা

বাদামের উপকারিতা শুধুমাত্র খাদ্য হিসেবেই সীমাবদ্ধ নয়, চুল ও ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করার জন্য বাদাম যথেষ্ট উপকারী। এটা সত্যি যে, বাজারের কোনো দামি ক্রিম বা লোশন যা পারে না, বাদাম তেল একাই সেটা করে দেখায়। তাহলে আর দেরি না করে চলুন ঝটপট জেনে নেই ত্বক ও চুলের যত্নে বাদাম তেলের উপকারিতা কিভাবে কাজে লাগে।

ত্বকের যত্নে বাদাম বা আমন্ড তেল

১। বাদাম তেল বা আমন্ড অয়েলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন “ই” রয়েছে, যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনি পেয়ে যাবেন চমকপ্রদ এবং গ্লোয়িং স্কিন।

২। এই তেলের নিয়মিত ব্যবহার আর্দ্রতাকে ত্বকের মধ্যে ধরে রাখে এবং ত্বকের পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে।

৩। চোখের নীচের ডার্ক সার্কেল রিমুভ করতে বাদাম বা আমন্ড তেল যাদুর মতন কাজ করে।

৪। বাদাম তেল স্কিনে ন্যাচরাল ফেয়ারনেস আনতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কয়েকটি বাদাম পেস্ট করে স্কিনে মেসেজ করলে একটা ডিফারেন্ট লুকের অধিকারিনী আপনিও হয়ে উঠতে পারবেন।

৫। বাদাম তেলকে ন্যাচারাল এসেনশিয়াল অয়েল হিসেবে ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়।

চুলের যত্নে বাদাম বা আমন্ড তেল

১। বাইরের পলিউশন, ডাস্ট, কেমিক্যাল, হেয়ার কালার ইত্যাদির কারণে স্ক্যাল্পে অনেক সময় ইনফেকশন হয়ে যায়। যার ফলে অকালে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে। ড্যানড্রাফ এর সমস্যা দেখা দেয়। একমাত্র বাদাম তেলের নিয়মিত ব্যবহার পারে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে।

২। এই তেলের নিয়মিত ব্যবহার করলে মাথার ত্বকের রক্ত চলাচল ঠিক থাকে, চুলের পুষ্টি যোগায়, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে মশ্চারাইজার থাকায় আমন্ড অয়েল বা বাদাম তেল একটি ন্যাচারাল কন্ডিশনার হিসেবেও কাজ করে।

৩। বর্তমান লাইফস্টাইল আর দূষণ আমাদের চুল দ্রুত হারে নষ্ট করে দিচ্ছে। আমন্ড তেলের সঙ্গে অলিভ আর ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে মাথার চুলে লাগান। এতে শুধু স্প্লিট এন্ডের সমস্যাই দূর হবে না চুলের গোড়াও মজবুত হবে। সত্যি বলতে কী স্প্লিট এন্ড আর খুশকি চুলের এই দুটি প্রধান সমস্যার জন্য একবার আমন্ড তেল অবশ্যই ব্যবহার করে দেখুন। হাতে নাতে ফল পাবেন। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে অন্তত দু বার এই তেল মাথার চুল ও স্ক্যাল্পে মালিশ করা খুব জরুরী।

লেখাটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই লাইক ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।

ঘরোয়া টোটকার সাহায্যে স্ট্রেচ মার্ক দূর করুন

অনেকেই ফাটা চামড়া বা স্ট্রেচ মার্কের সমস্যায় ভুগে থাকেন। ত্বকের একাধিক স্তরের মধ্যে অন্যতম হল “ডার্মাল লেয়ার”, যা কোনও কারণে প্রসারিত হলে, তাহলেই স্ট্রেচ মার্ক (Stretch Marks) প্রকাশ পেতে শুরু করে। তাছাড়াও গর্ভকালীন সময় হঠাৎ করে মোটা হয়ে যাবার কারণে শরীরে স্ট্রেচ মার্ক বা ফাটা দাগ পরে। যা দেখতে খারাপ দেখায় এবং বেশিরভাগ মেয়েরাই এই দাগ দূর করা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ভোগেন। আজ এই স্ট্রেচ মার্ক দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়েই আলোচনা করবো যা কোনো প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই এই কালো দাগ দূর করবে । তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কি সেই উপায় গুলো –

১। আলুর রস- প্রতিদিন স্নানের আগে সামান্য আলুর রস স্ট্রেচ মার্কসের ওপর হালকা করে লাগিয়ে রাখুন। এরপর পাঁচ থেকে দশ মিনিট রেখে দিন হাল্কা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

২। ডিমের সাদা অংশ – ডিমের সাদা অংশ ভাল করে ফেটিয়ে স্ট্রেচ মার্কসের ওপর লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এপরপর অলিভ অয়েল দিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। এই নিয়ম মেনে চললে কয়েকদিনের মধ্যেই দাগ হালকা হয়ে যাবে।

৩। অ্যালো ভেরা জেল – স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে অ্যালো ভেরা জেলের কোনও বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো অ্যালো ভেরা জেল নিয়ে তাতে ৫ টা ভিটামিন এ ক্যাপসুলে থাকা তেল এবং ১০ টা ভিটামিন ই ক্যাপসুলে থাকা তেল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই পেস্টটি স্ট্রেচ মার্ক এর উপরে লাগিয়ে ততক্ষণ মাসাজ করতে হবে, যতক্ষণ না মিশ্রণটি একেবারে শুকিয়ে যায়। নিয়মিত এইভাবে ত্বকের পরিচর্যা করলে ত্বকের ভিতরে কোলাজেনের উৎপাদন বেড়ে যায়, যে কারণে এমন দাগ মিলিয়ে যেতে বেশি সময় লাগে না।

৪। লেবুর রসে রয়েছে প্রাকৃতিক এসিড যা দাগ দূর করতে সাহায্য করে। একটি লেবুর রস বের করে ফাটা অংশে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এছাড়া আপনি চাইলে লেবুর রসের সঙ্গে আলুর রস অথবা শসার রস কিংবা টমেটোর রসও মেশাতে পারেন।

৫। ক্যাস্টর অয়েল হালকা গরম করে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভালোভাবে ফাটা জায়গাতে ম্যাসাজ করলেও দাগ দূর হয়ে যায়।

লেখাটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই লাইক ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।

প্রিয় বন্ধুকে পাঠান জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা ও মেসেজ

প্রত্যেকের জীবনে প্রতি বছর একবার করে জন্মদিন আসে। এই দিনটার জন্য আমরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি। কারন জন্মদিন মানেই স্পেশাল একটা সেলিব্রেশন। আর এই জন্মদিনে সকাল সকাল একরাশ শুভেচ্ছা বার্তা পেতে কার না ভালো লাগে ব্লুন? কিন্তু সেই জন্মদিনটি যদি আপনার প্রিয়জনের হয় তাহলে তো আর কোনো কথাই নেই, সেই দিনটি তার কাছে অত্যন্ত স্পেশাল এবং স্মরণীয় করে তুলতে অনেক কিছুই করার চেষ্টা করে থাকি। আজ আপনাকে সহায়তা করতেই নিয়ে এসেছি প্রিয়জন কে জন্মদিনে পাঠানোর জন্য সেরা শুভেচ্ছা বার্তা। তাহলে চলুন আর দেরি না করে দেখে নি সেরা কয়েকটি জন্মদিনের শুভেচ্ছার বার্তা ও ম্যাসেজ।

১। শুভ শুভ শুভ দিন আজ তোমার জন্মদিন.
মুখে তোমার দীপ্ত হাসি ফুল ফোটাচ্ছে রাশি রাশি
হাজার ফুলের মাঝে গোলাপ যেমন হাসে
তেমন করে বন্ধু তোমার জীবন যেন সুখের সাগরে ভাসে
শুভ জন্মদিন !!

২। শুভ ক্ষন, শুভ দিন। মনে রেখো চির দিন
কষ্ট গুলো দূরে রেখো, স্বপ্ন গুলো পুরন করো
নতুন ভালো স্বপ্ন দেখো, আমার কথা মনে রেখো
শুভ জন্মদিন !!

৩। বাইরে তাকিয়ে দেখো কি মনোরম পরিবেশ
তোমার জন্যে সূর্য হাসছে, গাছেরা নাচছে , পাখিরা গান গাইছে
কারণ আমি সবাইকে বলেছি শুভেচ্ছা জানাতে
শুভ জন্মদিন !!

৪। আমি বন্ধুত্বের সংজ্ঞা জানি না কিন্তু আমি জানি তুইআমার বন্ধু। আমার সবথেকে ভাল বন্ধু. শুভ জন্মদিন প্রিয় বন্ধু।”

৫। ফুলে ফুলে ভরে যাক তোমার ভুবন,
রংধনুর মতো সাত রং এ রাঙ্গুক তোমার জীবন
দুঃখ কষ্ট গুলো হারিয়ে যাক দুর অজানার দেশে
তোমার জীবন যেন সুখের সাগরে ভাসে
এই কামনা করি বিধাতার কাছে
শুভ জন্মদিন !!

৬। দিনের শেষে বলছি বটে শুভ জন্মদিন
কিন্তু তোমার কথাই শুধু ভাবছি সারাদিন
জন্মদিনের শুভেচ্ছা !!

৭। পাঠিয়ে দিলাম ভালোবাসা, অন্তরের অন্তস্থল থেকে
সাথে রইলো শুভেচ্ছা, তোমার জন্মদিনের
শুভ জন্মদিন !!

৮। জন্মদিন মানুষের জীবনের বিশেষ দিনের মধ্যে একটি। আজকের তোমার সেই বিশেষ দিন, জন্মদিনের অসংখ্য শুভেচ্ছা রইলো তোমার জন্য।

৯। সুন্দর এই ভুবনে সুন্দরতম জীবন হোক তোমার
পুরন হোক প্রতিটি স্বপ্ন
প্রতিটি আশা, বেঁচে থাকো হাজার বছর
শুভ জন্মদিন !!

১০। জন্মদিনে কি বা দেব তোমায় উপহার
বাংলায় নাও ভালবাসা
হিন্দি তে নাও পেয়ার
শুভ জন্মদিন !!

লেখাটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই লাইক ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।

ত্বকের সমস্যা দূর করতে আয়ুর্বেদিক উপায়!

সুন্দর দেখতে কে না চায়। মানুষ হলো সৌন্দর্য্যের পূজারি। কিন্তু লাগাতার কসমেটিক্স এর প্রয়োগ, দৈনন্দিন কাজের চাপ, মানসিক চিন্তা, নানা প্রকার দূষণ ইত্যাদি আমাদের ত্বক কে রুক্ষ ও শুষ্ক করে তোলে ফলে স্কিনের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। কিন্তু জানেন কি প্রাচীন কাল থেকে চলে আসা আয়ুর্বেদিক উপায়ে রূপচর্চা করে স্কিনের হারানো উজ্জ্বলতা কে ফিরিয়ে আনা সম্ভব? আজ্ঞে হ্যাঁ! এরকমই কয়েকটি Ayurvedic Beauty Tips নিয়ে আলোচনা করব যে গুলো প্রয়োগ করে আপনি ঘরে বসে খুব সহজেই চকচকে ও দাগমুক্ত স্কিন পেতে পারেন। তাহলে আসুন আর দেরি না করে দেখে নেওয়া যাক সেই আয়ুর্বেদিক রূপচর্চা টিপস।

১। একটি কাঁচা টমেটো অর্ধেক কেটে সেই টুকরোটি কে সারা মুখে খুব ভালো করে লাগালে রোদে পোড়া, ট্যানিং দূর হয়।

২। অল্প পরিমাণে মুসুর ডাল বেটে তাতে মধু, লেবুর রস মিশিয়ে সারা মুখে ফেস মাস্কের মতো করে লাগিয়ে নিন এবং কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। ১৫ দিন অন্তর একবার এই মাস্কটি লাগান। এটি চেহারাতে একটা চকচকে ভাব আনবে, ন্যাচারাল গ্লো আসবে ও দাগ ছোপ ও দূর হবে।

৩। মুখে কোনো রকমের দাগ ছোপ থাকলে আলুর রস, লেবুর রস ও শসার রস এক সঙ্গে মিশিয়ে তাতে আধ চা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে যেখানে দাগ পড়েছে সেখানে লাগিয়ে রাখুন। এতে ত্বকের কালচে দাগ দূর হবে।

৪। কাঁচা দুধে একটি তুলো ভিজিয়ে ঠোটেঁ লাগিয়ে নিন। এটি নিয়মিত করলে ঠোটেঁর কালো দাগ খুব সহজেই উঠে যাবে।

৫। দুধে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস এবং সামান্য গ্লিসারিন মিশিয়ে হাতে লাগালে হাতের রুক্ষতা দূর হয়ে যায় এবং হাত রাখে মোলায়েম।

৬। মুখের ব্রণ দুর করতে রসুনের কোয়া ঘষে নিন ব্রণের উপর। খুব তাড়াতাড়ি ব্রণ মিলিয়ে যাবে।

৭। পায়ের গোড়ালি ফেটে গেলে একটি পেঁয়াজ বেটে সেই ফাটা অংশে প্রলেপ লাগিয়ে নিন। এতে খুব তাড়াতাড়ি পা নরম ও মসৃণ হয়ে উঠবে।

৮। অতিরক্ত শুষ্কতা থেকে মুক্তি পেতে মধু, দুধ ও বেসনের পেস্ট মুখে লাগান নিয়মিত। এতে ত্বকের বলিরেখা দূর হয়ে যাবে।

৯। নিয়মিত চুল পড়া বন্ধ করতে মাথায় আমলা, শিকাকাই যুক্ত তেল ব্যবহার করুন।

১০। গরমকালে শসা ও টকদই এর পেস্ট ভীষণ ভাবে উপকারি। এটি যেমন স্কিনে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি করে তেমনি স্কিন টোন ও ঠিক করে।

লেখাটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই লাইক ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।

খাঁটি সরিষার তেলের উপকারিতা

সরিষার তেল সরষে বা সরিষা বীজ থেকে উৎপন্ন হয়। গাঢ় হলুদ বর্ণের শক্তিশালী সুবাস যুক্ত এই তেল টি নানা গুনে ভরপুর। সরিষার তেল যেমন রান্নায় প্রয়োজনীয় তেমনি স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্যেও দারুণ উপকারী। এই তেল ওমেগা আলফা ৩ ও ওমেগা আলফা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ থাকায় সরিষার তেলকে স্বাস্থ্যকর তেল ও বলা হয়। সরিষার তেল হৃৎপিণ্ড–সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমায়। সরিষার তেল ব্যবহারে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রাও বহু মাত্রায় হ্রাস পায়। এছাড়াও সরিষার তেলের উপকারিতা ও গুণাগুণ প্রচুর। নীচে কয়েকটি উপকারিতা সম্বন্ধে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো –

নানা গুনে ভরপুর সরিষা তেল

১। সরিষার তেল চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং চুল পড়া কমায়, অকালে চুল সাদা হওয়া রোধ করে। সরিষার তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং বিটা ক্যারোটিন থাকে। যা চুলের বৃদ্ধিতে অনেক সাহায্য করে। এ ছাড়া সপ্তাহে ৩-৪ দিন নিয়ম করে প্রতি রাতে চুলের গোঁড়া থেকে ডগা পর্যন্ত সরিষার তেল লাগালে চুল মজবুত হওয়ার সাথে সাথে চুল ন্যাচারালি কালো হয়।

২। সরিষার তেলে ভিটামিন ই থাকে যা সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষা করে। এটি ত্বকের ক্যানসার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। ভিটামিন ই থাকায় এই তেল বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দূর করে ত্বককে কোমল ও মসৃণ করতে সাহায্য করে।

১ চামচ সরিষার তেল ও নারকেল তেল ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন তারপর ১৫-২০ মিনিট ভালো করে ত্বকে মাসাজ করুন। তারপর একটি ভেজা টিস্যু বা সুতির কাপড় দিয়ে মুখটি মুছে ফেলুন। নিয়মিত এই টোটকা টি ব্যবহার করলে আপনার রোদে পোড়া ত্বকের ঔজ্জ্বল্যতা ফিরে আসচবে।

৩। সরিষা তেল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং এই তেলের মালিশ শরীরের নানা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। সর্দি কাশিতে এক ড্রপ সরিষার তেল নাকের বদ্ধভাব দূর করে তৎক্ষণাৎ আরাম প্রদান করে। কানের ব্যথা সারাতেও এই তেলের কোনো বিকল্প নেই। সামান্য কেটে গেলে এই তেল আপনি ব্যবহার করতে পারেন যা অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করবে। নিয়মিত সরিষার তেলের মালিশ বাতের ব্যথা কমাতে বেশ উপকারী।

৪। স্নানের সময় সামান্য লবন আর তার সাথে সামান্য পরিমাণে সরিষার তেল মিশিয়ে তারপর আঙ্গুলের সাহায্যে দাঁত মেজে নিন। এটি আপনার দাঁতের লালটে ভাব দূর করবে এবং সাথে দাঁত কে গোঁড়া থেকে মজবুত করবে।

লেখাটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই লাইক ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।

সেরা ৫টি পতঞ্জলি ফেসওয়াশ যা ত্বকের জন্য বেস্ট

পতঞ্জলি বিউটি প্রোডাক্টস সম্বন্ধে অবগত নয় এমন বোধহয় খুব কম লোকই আছে। এটি এমন একটি ব্র্যান্ড যার ওপর আমরা চোখ বন্ধ করে ভরসা করতে পারি। তাই আজ এরকমই ৫ টি সেরা পতঞ্জলি ফেসওয়াশ নিয়ে আপনাকে রিভিউ দেবো। যেগুলো এই প্রকট গরমেও আপনার স্কিন রাখবে ফ্রেশ। অ্যাকনে, ঘামাচি, র‌্যাশ, ফুসকড়ি, পিম্পল ইত্যাদি নানা ধরনের ত্বকের সমস্যা দূর করে আপনার লুকে আনবে চমক। তাহলে দেরি না করে দেখে নিন সেই ৫টি ফেসওয়াশ কি কি –

১। পতঞ্জলি নিম-তুলসি ফেসওয়াশ (Patanjali Neem-Tulsi Face Wash):

উপকরণ: এতে রয়েছে ঘৃতকুমারী, নিম ও তুলসী।

উপকারিতা: নিম ও তুলসীর নির্যাস ত্বকের সমস্ত ময়লা ভেতর থেকে পরিষ্কার করে ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক না করেই। আর অ্যালোভেরা তৎক্ষণাৎ আপনার মুখে একটা গ্লো নিয়ে আসে। এই ফেসওয়াশ নর্মাল, ড্রাই, অয়েলি সব ধরনের স্কিনেই ব্যবহারযোগ্য। কিন্তু যাদের ভীষণ সেনসেটিভ স্কিন তারা এটা ব্যবহার না করলেই ভালো।

মূল্য: ৬০ গ্রামের দাম ৪৫ টাকা।

২। পতঞ্জলি অ্যালোভেরা-মিন্ট ফেসওয়াশ (Patanjali Aloe Vera Mint Face Wash)

উপকরণ: পুদিনা, ঘৃতকুমারী।

উপকারিতা: এটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এবং মুখের অতিরিক্ত তেলের পরিমাণ হ্রাস করতে সহায়তা করে। এটি ব্যবহার করার পর খুব হালকা একটা মিন্টের সুবাস অনুভুত হয় যা খুব ভালো লাগে। এই ফেসওয়াশটি সংবেদনশীল বা সেনসেটিভ ত্বকের জন্য খুব ভালো।

মূল্য: ৬০ গ্রামের দাম ৪৫ টাকা।

৩। পতঞ্জলি রোজ ফেসওয়াশ (Patanjali Rose Face Wash):

উপকরণ: রোজ, ঘৃতকুমারী, নিম এবং মধু।

উপকারিতা: এটি পতঞ্জলির ওয়ান অফ দি বেস্ট ফেসওয়াশ এর মধ্যে একটা। যারা গোলাপের গন্ধ ভীষণ পছন্দ করেন এবং যাদের ভীষণ ড্রাই/ শুষ্ক ত্বক তাদের জন্য এটি খুব ভালো একটি আয়ুর্বেদিক ফেসওয়াশ। এটি খুব ভালো ভাবে ত্বকের ভেতরের সমস্ত ময়লা পরিষ্কার করে। ত্বককে রাখে নরম এবং মসৃণ। এর তেমন ভাবে কোনো সাইড এফেক্টস নেই সব ধরনের ত্বকের জন্য এটি ব্যাবহার যোগ্য। তবে শুষ্ক ত্বকের জন্য এটি বেস্ট।

মূল্য: ৬০ গ্রামের দাম ৪৫ টাকা।

৪। পতঞ্জলি সৌন্দর্য ফেসওয়াশ (Patanjali Saundrya Face Wash):

উপকরণ: ঘৃতকুমারী, জেল বেস, গ্লিসারিন, ভিটামিন ই।

উপকারিতা: বিশেষত যাদের অয়েলি স্কিন তাদের জন্য এই ফেসওয়াশ টি ভীষণ ভালো ভাবে কাজ করে। এটি মুখের ব্রণ, পিম্পল, অ্যাকনে, অতিরিক্ত তেল অপসারন করে আপনার ত্বক রাখে পরিষ্কার।

মূল্য: ৬০ গ্রামের দাম ৬০ টাকা।

৫। পতঞ্জলি লেমন – হানি ফেসওয়াশ (Patanjali Lemon Honey Face Wash):

উপকরণ: লেবু, তুলসি, বিশুদ্ধ মধু এবং অ্যালোভেরা।

উপকারিতা: স্বাভাবিক এবং তৈলাক্ত ত্বক যুক্ত লোকেদের জন্য এই ফেসওয়াশ টি ভীষণ ভালো কাজ করে। এই লেমনি সুগন্ধি যুক্ত ফেসওয়াশটি ত্বক রাখে তাজা এবং মসৃণ। যাদের ভীষণ ড্রাই স্কিন তারা এটা ব্যবহার না করলেই ভালো। কারন এটি ত্বক কে আরো শুষ্ক করে তোলে।

মূল্য: ৬০ গ্রামের দাম ৪৫ টাকা।

লেখাটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই লাইক ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।

Design a site like this with WordPress.com
শুরু করুন