জানুন কোথা থেকে শুরু হলো সানি লিওনির জীবন কাহিনী

ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী সানি লিওনি কে চেনে না এমন বোধ হয় কেউই নেই। তাকে সকলেই চেনে। সানি লিওনি বনাম করণজিৎ কৌর, একজন মেয়ে, একজন স্ত্রী, একজন মা এবং অবশ্যই একজন সফল ব্যবসায়ী। নীল ছবির পেশা ছেড়ে দিয়ে বলিউডে পা রাখা তারপর একের পর এক বলিউড ছবিতে কাজ করা ও সাথে হিট আইটেম সং প্রদর্শন করা। কি মনে হচ্ছে খুব সহজ তাই তো? আদেও সানির এই জার্নি খুব একটা সহজ ছিল না। কেন তিনি পর্নোগ্রাফিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন? এক শিখ পরিবারের মেয়ে হয়ে কী ভাবেই বা তিনি এই অ্যাডাল্ট ইন্ডাস্ট্রিতে পা দিলেন? সানি লিওনের জীবন কাহিনী তাঁর জীবনের সেই সকল গোপন তথ্যের সন্ধান নিয়েই আজ এই আর্টিকেল।

ছোটবেলা

সানি লিওনি বনাম করণজিৎ কৌর এর জন্ম কানাডার ওন্টারিওর সার্নিয়া শহরে ১৯৮১ সালের ১৩ মে। শিখ ধর্মাবলম্বী সানির বয়স যখন ১৪ বছর, তখন তার পরিবার কানাডা থেকে মিশিগানে পাড়ি দেয়। পরে ক্যালিফোর্নিয়ার লেক ফরেস্টে পাকাপাকিভাবে বসবাস করতে শুরু করে সানির পরিবার। তাঁর মা হিমাচলের মেয়ে আর বাবা শিখ। পাশ্চাত্য ধারাতেই সানি বড় হয়ে উঠেছিলেন।

পর্ন তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া

সানি লিওন নামটি শুনলেই যেন নীল জগতের সমস্ত ভাবনা গুলো মাথায় চলে আসে। কিন্তু কি ভাবে কি ভেবে তিনি এই নীল জগতে এলেন? স্বেচ্ছায় কখনও পা রাখেন না এই জগতে, কিন্তু সানি লিওনের ক্ষেত্রে বিষয়টা একেবারেই ভিন্ন। তিনি নিজের ইচ্ছেতেই এই দুনিয়াতে পা রেখেছিলেন আর এর জন্যে কোনো আক্ষেপও নেই তাঁর।

বিবাহ

সানির মতো সুন্দরীর জীবনে প্রেম বহুবার এসেছে। পর্ন জগতে পা রাখার আগে ভারতীয়-কানাডিয়ান স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান রাসেল পিটারের সঙ্গে তাঁর প্রেম ছিল যেটা পরে ভেঙে যায়। তবে সিনেমায় অভিনয় করার সময় তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ম্যাট এরিকসনের। তিনি একসময় দাবিও করে বসেন যে, ম্যাট ছাড়া অন্য কোনও পুরুষ অভিনেতার সঙ্গে তিনি অভিনয় করবেন না। ২০০৮-এ সানি আবার অন্য অভিনেতাদের সঙ্গে অভিনয় শুরু করলেন। ম্যাটের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভেঙে গেল। সানির সর্বশেষ পর্ন ছবিতে দেখা গেল অন্য একজন অভিনেতাকে। ড্যানিয়েল ওয়েবার। করণজিৎ বুঝতে পারলেন তিনি আবার প্রেমে পড়েছেন! সাড়া পাওয়া গেল ড্যানিয়েলের দিক থেকেও। অভিনয় জীবন থেকে এক কদম এগিয়ে দু’জনে শুরু করলেন নিজেদের ব্যবসা। তৈরি হল সানলাস্ট পিকচার। সানি নিজেই পর্ন ছবি লিখে পরিচালনা করতে শুরু করলেন। সেই ছবি পরিবেশনার দায়িত্ব নিল ভিভিড এন্টারটেনমেন্ট। আবার এল সাফল্য। সানির একের পর এক ছবি ভাল ব্যবসা করল। ড্যানিয়েল প্রস্তাব দিলেন বিয়ের। সানি ফিরিয়ে দলেন সেই প্রস্তাব। প্রায় দু’মাস ধরে প্রতিদিন একের পর এক ফুলের তোড়া পাঠাতে লাগলেন ড্যানিয়েল। সানি বুঝতে পারলেন, এই ছেলে সহজে তাঁর পিছু ছাড়বে না! ২০১০ এ ড্যানিয়েলকে নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিলেন সানি। চার হাত এক হল তাঁদের।

বিয়েবাড়ি জমাতে প্লে লিস্টে অবশ্যই রাখুন এই সেরা বলিউড গানের সম্ভার

বিয়েবাড়ি মানেই পরিবারের সকলে একত্রিত হয়ে হৈ হুল্লোড় আনন্দ হাসি ঠাট্টা মজার একটা পরিবেশ। আর সেখানে নাচাগানা হবে না এমন টা কিভাবে হয় ব্লুন তো? আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের জন্য নিয়ে হাজির হয়েছি সেরকমই কয়েকটি সেরা বলিউড গান এর সম্ভার, যেগুলো কোনও দিন পুরনো হবে না। বিয়ে থেকে রিসেপশন, সবটাই কভার করবে বেছে বেছে সেই ধরনেরই দারুণ কয়েকটি গান আমরা নিয়ে এসেছি আপনার বিয়ের জন্য। শুধু গানগুলো বাজানোর অপেক্ষা, তারপরই দেখবেন প্রত্যেকে নাচতে শুরু করে দিয়েছে।

১| মেহেন্দি লাগাকে রখনা (Dilwale Dulhaniya Le Jayenge)

২| বোলে চুরিয়া বোলে কঙ্গনা (Kabhi Khushi Kabhie Gham)

৩| লন্ডন ঠুমক দা (Queen)

৪| নভরাই মাঝি (English Vinglish)

৫| সসুরাল গেন্দা ফুল (Delhi 6)

৬| বন্নো (Tanu Weds Manu Returns)

৭| সাজন জি ঘর আয়ে (Kuch Kuch Hota Hai)

৮| বুমরো বুমরো (Mission Kashmir)

৯| গল মিঠঠি মিঠঠি বোল (Aisha)

১০| আখ মারে ও লড়কা আখ মারে (Simmba)

১১| কবিরা (Yeh Jawaani Hai Deewani)

১২| রাঁধা (Student of the Year)

১৩| সাড্ডি গলি (Tanu Weds Manu)

১৪| মুঝসে শাদি করোগি (Mujhse Shaadi Karogi)

১৫| প্রেম রতন ধন পায়ো (Prem Ratan Dhan Payo)

১৬| পাঞ্জাবি ওয়েডিং সং (Hasee Toh Phasee)

১৭| মেরে রস্কে কমর (Baadshaho)

১৮| নচদে নে সারে (Baar Baar Dekho)

১৯| দিন শগনা দা চরেয়া (Phillauri)

২০| গুড় নাল ইশক মিঠা (Ek Ladki Ko Dekha Toh Aisa Laga)

২১| দিল্লী ওয়ালি গার্লফ্রেন্ড (Yeh Jawaani Hai Deewani)

২২| দিদি তেরা দেওর দিওয়ানা (Hum Aapke Hain Kaun)

২৩| সুইটি তেরা ড্রামা (Bareilly Ki Barfi)

২৪| তেনু লেকে (Salaam-E-Ishq)

২৫| যব মেহেন্দি লাগ লাগ যাভে (Singh Saab the Great)

লেখাটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। পড়ে ভালো লাগলে লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট অবশ্যই করবেন।

এজিং স্কিন থেকে দূরে থাকার উপায়

মনের দিক থেকে আমরা যতই তরুণ থাকি না কেন, আমাদের ত্বক কিন্তু তার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না। এজিং বা পরিণত বয়সের দিকে এগিয়ে চলা একটি স্বাভাবিক পদ্ধতি। শরীর আর মনের দিকে আমরা যেমন পরিণত হয়ে উঠি ঠিক সেরকমই আমাদের ত্বকও পরিণত হয়ে যায়। প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রেই এটা হয়ে থাকে। যখন বয়স অল্প থাকে তখন আমাদের ত্বক টানটান থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বক তার ইলাসটিসিটি বা টানটান ভাব হারিয়ে ফলে, আগের সেই লাবণ্য আর থাকে না। আর ত্বক বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। চোখের আশেপাশে বলিরেখা দেখা দেয়, গাল আর কপালের চামড়া কুঁচকে যায়। তবে এত চিন্তার কিছু নেই। সময় থাকতেই প্রতিদিন কিছু Anti Aging Skin Care টিপস মেনে চলা দরকার। রুটিনমাফিক যত্ন নিলে ত্বকের এই বুড়িয়ে যাওয়াকে অনেকটাই রোধ করা সম্ভব। তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন কি সেই উপায় গুলি –

১। দিনের বেলা স্কিন ভালো করে ক্লিনজিং-টোনিং করতে হবে তার পর আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী পরিমাণ মতো মশ্চারাইজিং এর ব্যবহার করুন। আর রাতের বেলা ঘুমনোর আগে ক্লিনজিং-টোনিং এর ভালো সিরাম বা নাইট ক্রিম ব্যবহার করতে একদম ভুলবেন না।

২। রোদে বের হওয়ার আগে ক্ষতিকর সূর্যরশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচাতে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগান।

৩। উপযুক্ত বিশ্রাম অর্থাৎ প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমোনো অবশ্যই দরকার স্কিনকে তরতাজা রাখার জন্যে।

৪। ধূমপান তাড়াতাড়ি স্কিন এজিং ডেকে আনে এবং এটি স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকারক। তাই ধূমপানের অভ্যাস থাকলে সেটি অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে।

৫। স্কিন এজিং দূর করতে সঠিক ডায়েট চার্ট মেনে চলা দরকার। রোজের ডায়েটে রাখুন তাজা শাক সবজি, ফল এবং প্রোটিন ও ভিটামিন যুক্ত খাবার।

৬। ত্বক উজ্জ্বল রাখতে ও সুন্দর দেখাতে কাঁচা হলুদ বেশি করে খান।

৭। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমানে জল পান করুন।

৮। সাবান কখনও মুখে লাগাবেন না। যত দামী সাবানই হোক না কেন, সাবান ত্বককে শুষ্ক করে দেয় এবং শুষ্ক ত্বকে তাড়াতাড়ি বলিরেখা পড়ে।

স্কিন এজিং দূর করতে রোজ এই টিপস গুলো মাথায় রাখুন।

লেখাটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। পড়ে ভালো লাগলে লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট অবশ্যই করবেন।

বিয়ের কনের সাজের দারুণ মেকআপ টিপস

প্রত্যেকটি মেয়ের জীবনেই বিয়ে হলো স্বপ্ন। আর বিয়ের দিনের কেমন পোশাক হবে কেমন মেকআপ, সাজগোজ হবে তাই নিয়ে প্রত্যেকটি মেয়ের মনেই নানা রকম জল্পনা কল্পনা চলতেই থাকে। সকলের মনে একটাই ইচ্ছে থাকে কনে রূপে সেজে তাকে যেন সব চাইতে সুন্দর দেখায়। জীবনের এই নতুন অধ্যায়ের সূচনায় আপনি যাতে সবার চোখে তাক লাগিয়ে দিতে পারেন তাই আজকে আপনার জন্য নিয়ে এসেছি কিছু Bridal Makeup Tips,যা ফলো করলে আপনি নিজেই হয়ে যেতে পারবেন নিজের ব্রাইডাল আর্টিস্ট। চটপট দেখে নিন বিয়ের কনের সাজের দারুণ সব মেকআপ টিপস।

১। মেকআপ পর্ব শুরুর আগে প্রথমে ভালো করে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে তারপর স্ক্রাব ব্যবহার করে স্কিন এক্সফোলিয়েট করে নিন। এবার ভালো করে সারা মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে মেকআপ করা শুরু করুন।

২। প্রথমে আপনার শেড অনুযায়ী প্রাইমার লাগিয়ে নিন। মনে রাখবেন এই প্রাইমারই কিন্তু আপনার পুরো মেকআপের বেস তাই প্রাইমারের প্রয়োগ ঠিক মত না হলে মেকআপ কিন্তু ঠিক মত বসবে না। প্রাইমার আপনার মুখের হালকা রিংকেল থাকলে সেটা দূর করবে। এরপর শেড অনুযায়ী ফাউন্ডেশন বেছে নিন তারপর মেকআপ ব্রাশ বা হাত দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে সারা মুখে,গলায়,ঘাড়ে এবং পিঠে লাগিয়ে নিন।

৩। এরপর কনসিলারের প্রয়োগ। কনসিলার মুখের ব্রণ, দাগ-ছোপ লুকোতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও আপনি চোখের পাতায়, চোখের নিচে বা নাকের দুপাশে ভালো করে কনসিলার প্রয়োগ করতে পারেন।

৪। এরপর চোখের মেকআপ। চোখ যাতে বড় দেখায় তার জন্য চোখের নিচের ল্যাশ লাইনে ন্যুড শেড আইলাইনার ব্যবহার করুন। চোখ দুটিকে সাজানোর জন্য ব্রাউন, গোল্ড বা ব্রোঞ্জ শেডের আইশ্যাডো ব্যবহার করুন। গোল্ড শিমার ব্যবহার করলেও ভালো লাগবে। তারপর লাইনার, কাজল ও মাস্কারা প্রয়োগ করে আপনার চোখ দুটি সাজিয়ে তুলুন।

৫। লিপ লাইনিং পেন্সিল দিয়ে আপনি নিজের ইচ্ছে মতো সরু বা মোটা ঠোঁট এঁকে নিন ও ঠোঁটের কোণা দুটি লিপ লাইনার দিয়ে ঠিক করে নিন। তারপর আপনার ড্রেসের সাথে ম্যাচ করে লিপস্টিক লাগিয়ে নিন। একটু ডার্ক শেডের যদি লিপস্টিক লাগাবেন তাহলে সুন্দর দেখাবে।

লেখাটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। পড়ে ভালো লাগলে লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট অবশ্যই করবেন।

পাইলসের কারণ, লক্ষণ ও ঘরোয়া চিকিৎসা

তীব্র বেদনাদায়ক ও জটিল রোগ গুলোর মধ্যে অর্শ বা পাইলস হলো একটি যা মুলত মানুষের মলদ্বারের রোগ। মলদ্বারের ভেতরে বা বাইরে, চারপাশে বা একপাশে থাকা বেশ কিছু টিস্যু এবং পেশি যখন প্রদাহ এবং আরও নানা কারণে খুব ফুলে যায়, তখন এই ধরনের রোগের আশঙ্কা দেখা যায়। এই রোগে মূলত মলত্যাগ করার সময় খুব কষ্ট হয়। এছাড়া বসার সময় এবং ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার খেলেও কষ্ট বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তবে পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্ভব। বিস্তারিত জানতে অবশ্যই পড়ুন পুরো লেখাটা।

অর্শ বা পাইলস রোগের লক্ষ্যণ –

১। মলত্যাগ করার আগে বা পরে কিংবা পায়খানার সঙ্গে রক্ত বের হওয়া। অনেক ক্ষেত্রে নরম মাংসপিণ্ডের মতো পাইলসও বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।

২। মল দ্বারে জ্বালাপোড়া এবং ফুলে যাওয়া, টাটানো ও যন্ত্রণা অনুভব হওয়া।

৩। মাথা ধরা ও মাথা ভার বোধ করা, নাভির চারপাশে ব্যথা, কোমরে ব্যাথা।

অর্শ বা পাইলস রোগের কারণ –

১| পরিবারিক ইতিহাস থাকলে, বহুদিন ধরে কনস্টিপেশনের মতো সমস্য়ায় ভুগলেও পাইলস বা অর্শ হতে পারে।

২| ক্রনিক ডায়রিয়ার কারণেও অর্শ হতে পারে।

৩| চিকিৎসকদের মতে, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের জরাযুতে চাপ পড়লেও অর্শ হতে পারে।

অর্শ বা পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা –

১।| রেড়ির তেল – এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা অল্প সময়েই পাইলসের যন্ত্রণা কমায়। রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে ১ চা চামচ রেড়ির তেল মিশিয়ে পান করুন। নিয়মিত এমনটা করলে উপকার মিলবে হাতে-নাতে!

২। শরীরে যাতে জলের ঘাটতি না হয় তাই প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ গ্লাস জল পান করুন, অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাদ্য পরিহার করুন। এতে পাইলসের যন্ত্রণা কম অনুভুত হবে।

৩। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোতে হবে।

৪। যাঁদের বেশিক্ষণ বসে কাজ, তাঁরা প্রতি ঘণ্টায় চেয়ার থেকে উঠে কম করে মিনিট পাঁচেক হাঁটুন। এতে অর্শ বা পাইলস হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

লেখাটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। পড়ে ভালো লাগলে লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট অবশ্যই করবেন।

মহিলাদের সাদা স্রাব কেনো হয়? ও তাঁর ঘরোয়া সমাধান

মহিলারা বেশিরভাগ সময়েই তাদের নানা শারীরিক সমস্যা এড়িয়ে যায় এমন অনেক কথাই আছে মেয়েদের, যা অনেক সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে থাকলেও ডাক্তার কে দেখাতে হবে ভেবে সেটা লুকিয়ে রাখা হয়। সাদা স্রাব বা লিউকোরিয়া তেমনি একটি বিষয়। কিন্তু এই বিষয় নিয়ে হেলাফেলা করা একদমই ঠিক নয়। মেয়েদের জীবনের কোনো না কোনো সময় তাদের কে স্রাবের এই সমস্যায় পড়তেই হয়। ঠিকমত এর যত্ন না নিলে ভবিষ্যৎ এ অনেক বড় শারীরিক অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এটি। তাই কিছুটা জেনে রাখুন সাদা স্রাব কেনো হয় তার চিকিৎসা কীভাবে হয়, এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া কোনও টোটকা আছে কিনা। বলা যায় না কখন আপনার জীবনে কাজে লেগে যায়।

সাদা স্রাব হওয়ার কিছু সাধারণ কারণ হল অপরিষ্কার থাকা, পিরিয়ডের সময় দীর্ঘক্ষণ প্যাড বা ন্যাপকিন পরে থাকা এবং দেহে রক্তশুন্যতা ও ডায়াবেটিস থাকলেও সাদা স্রাবের সমস্যা দেখা দেয়। সাদা স্রাব হওয়ার পিছনে আরও কিছু কারণ আছে তা হল- দেহে হরমোনের পরিবর্তন, দেহে ইস্ট্রজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া, যৌনাঙ্গে ইনফেকশন, এসিডিটি। এগুলো বাদেও যে কারন গুলো রয়েছে সেগুলো হলো –

১। বার্থ কন্ট্রোল পিল (Birth Control Pill)-

অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ থেকে রক্ষা পাবার জন্য অনেক মহিলাই নিয়মিত বার্থ কন্ট্রোল পিল বা গর্ভনিরোধক বড়ি খান। নিয়মিতভাবে এই বড়ি খেলে তা হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে না এবং নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হয়, সাদা স্রাবও তার মধ্যে একটি।

২। একাধিক যৌন সম্পর্ক (Sex with Multiple Partners)-

একাধিক যৌন সম্পর্কে যদি কেউ লিপ্ত থাকে তা হলে নানা জনের শরীর থেকে জীবাণু সংক্রমণ ঘটা খুব সাধারণ ব্যাপার এবং সেক্ষেত্রে সাদা স্রাবের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

মেয়েদের সাদা স্রাব সমস্যার ঘরোয়া সমধান –

১। তুলসি পাতা – এক চা চামচ মধুর সঙ্গে এক চা চামচ তুলসি পাতার রস মিশিয়ে খান, দু’সপ্তাহের জন্য। নিজেই উপকার বুঝতে পারবেন।

২। কলা – প্রতিদিন দুটো পাকা কলে খেতে হবে দ্রুত সাদা স্রাবের সমস্যা রোধ করার জন্য।

৩। ঢেড়স – ঢেড়স মূলত একটি সবজি এবং যা সাদা স্রাব সমস্যা দূর করতে ভীষণ সহায়ক। তাছাড়াও ঢেড়স যৌনাঙ্গের যে কোন সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে। পরিমাণ মতো ঢেড়স ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ২০ মিনিট সিদ্ধ করে নিন। তারপর এই পানীয়টি একটি গ্লাসে পরিমাণ মতো নিয়ে সামান্য মধু মিশিয়ে নিন ও পান করুন। সাদাস্রাব সমস্যা পুরোপুরি রোধ না হওয়া পর্যন্ত এই পদ্ধতিটি মেনে চলুন।

জেনে নিন সন্তানকে স্তন্যদান করার উপকারিতা

জন্ম নেওয়ার পর শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করানোটা সবচেয়ে বেশি জরুরি৷ জন্মাবার পর থেকে শিশুরা যদি তিন মাস বা তার অধিক সময় ধরে মায়ের দুধ পান করে তাহলে তাদের বুদ্ধি অনেক প্রখর হয়। সেই মাতৃদুগ্ধের জোরেই ভবিষ্যৎ এ সুস্থ জীবনের দিকে এগিয়ে চলে শিশু ৷ এভাবেই মা ও তার সন্তানের মধ্যে একটা সুন্দর ও গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

মাতৃদুগ্ধের উপকারিতা অনেক। মায়ের দুধ খেয়ে বড় হলে চিন্তাশক্তির ক্ষমতা, শেখার ক্ষমতা, স্মৃতিশক্তি অন্যান্যদের তুলনায় বেশি হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন মায়ের দুধে এমন কিছু পুষ্টিকারক বস্তু থাকে যেমন অ্যামিনো অ্যাসিড যা বাজারে কেনা কোনো প্রোডাক্টে থাকে না। এই অ্যামিনো অ্যাসিডের মধ্যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ডোকোসাহেক্সানোইক অ্যাসিড আছে – যেগুলো শিশুর মস্তিষ্ক-বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মায়ের দুধ খেলে বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং তাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও যেসব শিশুরা মায়ের দুধ খেয়ে বড় হয়, তাদের কানের অসুখ, পেটের অসুখ, অ্যালার্জি ইত্যাদি কম হয়। স্তন্যদান মায়েদের স্তন এবং ওভারিয়ান ক্যানসারের হবার সম্ভাবনা কমায়, পরপর দুটি গর্ভধারণের অন্তর্বর্তীকাল বৃদ্ধি করে।

তবে এই স্তন্যদানের কিছু খারাপ দিক ও আছে। মহিলারা তাদের সন্তানকে পাবলিক প্লেসে Breastfeeding (প্রকাশ্যে স্তন্যদান) করালে সমাজের কিছু কিছু মানুষ তাদের ছি ছি করেন। নির্দ্বিধায় সন্তানকে স্তন্যপান করানো বর্তমানে একটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকী গ্রামের কোনও মহিলাও এখন স্বাভাবিক ভাবে প্রকাশ্যে স্তন্য়দান করাতে ইতস্তত বোধ করেন। এই দৃষ্টিভঙ্গী আমাদের বদলাতে হবে। মায়েরা যাতে বাধাহীন ভাবে সন্তানকে স্তন্যদান করতে পারেন তারজন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

পাবলিক প্লেসে স্তন্যদানের সময় কী-কী খেয়াল রাখবেন?

১। বাজারে প্রচুর কাজের ব্রেস্টফিডিং গ্যাজেটস রয়েছে। যেমন ব্রেস্টফিডিং পিলো, ব্রেস্টফিডিং কভার্স ইত্যাদি। সেরকম কিছু গ্যাজেটস কিনে নিন। এগুলো পাবলিক প্লেসে দুধ খাওয়ানোর সময় আপনার কাজে লাগবে।

২। যদি আপনাকে বেশিক্ষণ সময় ধরে দুধের শিশুকে নিয়ে বাইরে থাকতে হয়, তা হলে পাম্প করা দুধ বোতলে নিয়ে না যাওয়াই ভাল। কারণ গরমে সেই দুধ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তার চেয়ে ভাল হয়, যদি আগে থেকেই শিশুর জন্য কোনও ফিডিং চার্ট করে রাখেন।

৩। যদি দেখেন আপনি যেখানে আছেন, সেখানে কোনও ফিডিং রুম নেই, সেক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত নির্জন জায়গা বেছে নিয়ে শিশুকে স্তন্যদান করবেন। লোকলজ্জার ভয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে কখনওই শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করাবেন না। এতে আপনার হয়তো অস্বস্তি কমবে, কিন্তু শিশুর সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক বেড়ে যাবে।

ত্বকের পরিচর্য়ায় অ্যালো ভেরা জেল

একাধিক ভিটামিন, এনজাইম, মিনারেল সহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফলিক অ্যাসিডে ঠাসা এই প্রাকৃতিক উপাদনটিকে ত্বকের পরিচর্যায় কাজে লাগালে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত, অল্প সময়েই ত্বকের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি আরও একাধিক উপকার মেলে। তাই Benefits of Aloe Vera নিয়ে আলোচনা করতে গেলে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির আরও কিছু উপকারিতার উপর আলোকপাত না করলেই নয়। যেমন ধরো…

১। ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরে আসবে:

নিয়মিত অ্যালো ভেরা জেলের সাহায্যে ফেসিয়াল মাসাজ করলে ত্বকের ভিতরে জলের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। ফলে স্কিনের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরে আসতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ত্বক আর শুষ্ক না থাকার কারণে নানাবিধ ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে। এবার বুঝেছো তো ত্বকের পরিচর্যায় অ্যালো ভেরা জলকে কাজে লাগানো কতটা জরুরি!

২। ব্রণর প্রকোপ কমে:

এমন ধরনের ত্বকের সমস্যার কারণে কি চিন্তায় রয়েছো? তাহলে ১ চামচ অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে ২-৩ ড্রপ লেবুর রস মিশিয়ে একটা মিশ্রণ বানিয়ে ফেলো। তারপর সেই পেস্টটা সারা মুখে লাগিয়ে সারা রাত রেখে পরদিন সকালে ধুয়ে নাও। এমনটা যদি প্রায় দিনই করতে পারো, তাহলে ত্বকের ভিতরে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে, যে কারণে ব্রণর প্রকোপ তো কমবেই, সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের দাগ মিলিয়ে যেতেও দেখবে সময় লাগবে না। আসলে অ্যালো ভেরা জেলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করা মাত্র নতুন স্কিন সেলের উৎপাদন বেড়ে যায়, যে কারণে কোনও ধরনের দাগ মিলিয়ে যেতে একেবারেই সময় লাগে না।

৩। স্ট্রেচ মার্ক কমে:

প্রেগন্যান্সি কারণে তো বটেই। অনেক সময় ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণেও শরীরের ইতি-উতি স্ট্রেচ মার্ক দেখা দেয়, যা মটেই সুন্দর দেখতে লাগে না। তাই স্ট্রেচ মার্ক কমাতে একেবারেই সময় নষ্ট করা উচিত নয়, আর সেই কারণেই ত্বকের পরিচর্যায় আলো ভেরা জেলকে কাজে লাগাতে হবে। ডার্মাটোলজিস্টদের মতে নিয়মিত যদি স্ট্রেচ মার্কের উপর আলো ভেরা জেল লাগানো যায়, তাহলে নাকি এমন ধরনের দাগ মিলিয়ে যেতে একেবারেই সময় লাগে না।

৪। চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:

২ চামচ অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে ১ চামচ রেড়ীর তেল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে ফেলো। তারপর সেটি রাত্রে শুতে যায়ার আগে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে কিছু সময় মাসাজ করে ঘুমিয়ে পরো। পরদিন সকালে উঠে ভালো করে ধুয়ে ফেলো চুল। এমনটা নিয়মিত করলে স্ক্যাল্পের উপরি অংশে জমে থাকা মৃত কোষের স্তর সরে যায়। সেই সঙ্গে চুলের গোড়ায় পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চুলের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি হেয়ার ফলের মাত্রাও কমে চোখে পড়ার মতো।

মন ভালো করা কিছু ভালোবাসার মেসেজ

যখন কাউকে আমরা ভালোবেসে ফেলি তখন প্রতি মুহূর্তে মনটা কেমন ছটফট করতে থাকে। মনে হয় কীভাবে বলবো মনের কথা। শব্দ খুঁজে পাওয়া যায় না। উত্তেজনায় বুকে মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। কথা বেরোয় না মুখ থেকে। এই ভাবেই কেটে যায় বহু দিন। শেষে আর থাকতে না পেরে কোনও মতে দুরু দুরু বুকে একটা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ নয়তো সামনা-সামনি আই লাভ ইউ বলার চেষ্টায় লেগে পড়ি আমরা। কিন্তু ভুলে যাই প্রেমিক বা প্রেমিকার মন জয় করতে “আই লাভ ইউ” এর থেকেও যে ভালো উপায় রয়েছে। আই লাভ ইউ-এর বিকল্প আর কিছু হয় নাকি! আরে হয় হয়! আর সেই বিকল্প হল ভালোবাসা ভরা কিছু মেসেজ ও শুভেচ্ছা। তাই তো আজ এই লেখায় কিছু ভালোবাসার মেসেজ প্রকাশ করতে চলেছি, যা মনের কথা প্রকাশ করতে আপনাকে সাহায্য করবে, তা হলফ করে বলতে পারি!

ভালোবাসা ভরা শুভেচ্ছা ও মেসেজ:

রোমান্টিক ডায়ালগ তো অনেক আছে। কিন্তু কোন সময় কোনটা বলতে হবে, সেটাই তো আসল কথা। তাই জেনে নিন কোন সময়ে কোনটা বললে কেল্লা ফতে হতে সময় লাগবে না, সে সম্পর্কে…

১. ভালোবাসা মানে শুধুই কিন্তু ভালোবাসা –

ভালোবাসার থেকে পবিত্র জিনিস আর কিই বা হতে পারে! তাই মনের কথা বলতে গিয়ে যদি একটু আধটু ভুল হয়ে যায়, তাহলে ক্ষতি কি বলুন! আর কথাতেই তো আছে “এভরিথিং ইজ রাইট ইন লাভ অ্যান্ড ওয়ার”। তাই মনের কথা প্রকাশ করতে গিয়ে সোজা পথের জায়গায় যদি বাঁকা পথ নাও, আর সে সম্পর্কে যদি তোমার ভালোবাসার মানুষটি বুঝে যায়, তাহলে যাব উই মেটের একটা ডায়লগ আছে, “যব কোই পেয়ার মে হোতা হে তো কোই সহি গলত নেহি হোতা”, এটা বলে ফেলুন। দেখবেন ফল পাবেন একেবারে হাতে-নাতে!

২. মহাব্বত কা নাম আজ ভি মহব্বত হে –

সময় পাল্টেছে। পাল্টেছে মনের কথা প্রকাশের মাধ্যমও। এক সময় প্রেমপত্র যেখানে মনের কথা নিয়ে পৌঁছে যেত এক থেকে আরেকের কাছে, সেখানে আজ হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ সেই কাজটা করে থাকে। কিন্তু তবু দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যয়েঙ্গে সিনেমার এই ডায়লগটা যে কোনও সময়ই হিট। কোন ডায়লগটা? “মহব্বত কা নাম আজ ভি মহব্বত হ্যায়। ইয়ে না কভি বাদলি হে অউর না কাভি বদলেগি…।”

৩. তুমি চাইলেও ভুলতে পারবে না আমায় –

প্রেমিক কি চাকরি নিয়ে অন্য রাজ্যে যাচ্ছে। তাই মন খারাপ? চিন্তা করবেন না! বরং একটা ছোট্ট মেসেজ করুন তাকে। বলুন, “হামসে দুর যাওগে কেইসে, দিল সে হামে ভুলোগে ক্যায়সে, হাম ভো খুশবু হ্যায় জো সাঁসো মে বাসতে হে, খুদকা সাঁসো কো রোক পায়োগে কেইসে…!” মেসেজটা পড়া মাত্র দুরত্ব যে ভালোবাসার মাঝে কখনই আসতে পারবে না, তা হলফ করে বলতে পারি!

স্বাধীনতা দিবস পালনে কয়েকটি সেরার সেরা দেশাত্মবোধক গান ও সিনেমার তালিকা

১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস ছোটবেলা থেকেই আমাদের মনে একটা আলাদাই জায়গা রাখে। স্বাধীনতা নিয়ে আমরা নানা গান শুনি, সিনেমা দেখি, লোকজনকে দেশাত্মবোধক মেসেজ পাঠাই! এবার একটু অন্যরকম ট্রাই করুন। এমন কয়েকটি সিনেমা ও গানের সম্ভার যেগুলি দেখলেই চোখের সামনে ভেসে উঠবে স্বাধীনতার সময়কার সেই লড়াই। তাই আপনাদের সাহায্য করতে স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে সেরকমই কয়েকটা Best Patriotic Movies অর্থাৎ দেশাত্মবোধক সিনেমা ও গানের সংকলন নিয়ে এসেছি যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস।

জনপ্রিয় কয়েকটি দেশাত্মবোধক সিনেমা

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই নানা ধরনের সংগ্রামী সিনেমার মাধ্যমে স্বদেশচেতনা জাগ্রত করে রেখেছে বলিউডের এই সিনেমা গুলি।

১| বর্ডার (Border)

২| রঙ দে বসন্তি (Rang de basanti)

৩| দ্য লিজেন্ট অফ ভগৎ সিং (The legend of bhagat singh)

৪| এল ও সি কারগিল (LOC Kargil)

৫| উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক (URI)

৬| রাজি (Razi)

৭| মঙ্গল পাণ্ডে (Mangal pandey)

৮| মাদার ইন্দিয়া (Mother India)

৯| দ্য ঘাজি অ্যাটাক (The Ghazi Attack)

১০| স্বদেশ (Swades)

এছাড়াও আপনি এই বিশেষ দিনে দেখতে পারেন – লাগান (Lagaan), চাক দে ইন্দিয়া (Chak de india), পূরব ওর পশ্চিম (Purab aur paschim), গদর (Gadar), ভাগ মিলখা ভাগ (Bhaag Milka Bhaag), লক্ষ্য (Lakshy)।

ভারতের স্বাধীনতার সঙ্গে জড়িত কয়েকটি দেশাত্মবোধক গান

এই গান গুলো যেগুলো দেশাত্মবোধ জাগ্রত করতে সাহায্য করবে।

১| জন গণ মন অধিনায়ক জয় হে (জাতীয় সঙ্গীত)

২| ও আমার দেশের মাটি/ তোমার পরে ঠেকাই মাথা – কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩| আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি – কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪| বাংলার মাটি বাংলার জল – কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫| ওরে আজ ভারতের নব যাত্রাপথে – কবি কাজী নজরুল ইসলাম

৬| ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা – দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

৭| উঠ গো ভারত লক্ষ্মী, উঠ আদি জগত জন পুজ্যা – অতুলপ্রসাদ সেন

৮| বল বল সবে শত বীণা বেনু রবে, ভারত আবার জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে – অতুলপ্রসাদ সেন

৯| ধন্য আমি জন্মেছি মা তোমার ধূলিতে – সলিল চৌধুরী

১০| কারার ঐ লৌহ কপাট – কবি কাজী নজরুল ইসলাম

লেখাটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। পড়ে ভালো লাগলে লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট অবশ্যই করবেন।

Design a site like this with WordPress.com
শুরু করুন