হবু কনেদের জন্য ৫টি ঘরোয়া ফেসপ্যাক যা ত্বকে আনবে জেল্লা

দেখতে দেখতে বিয়ের সিজনও চলে এলো। বিয়ের দিন সব মেয়েরাই চায় তাঁকে যেন সেইদিন সবচেয়ে সুন্দর দেখায়। কিন্তু এখনকার ব্যস্ততা ভরা জীবনে আমাদের তেমন ভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময় হয়ে ওঠে না। ফলে ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হতে থাকে এবং চেহারা থেকে গ্লো হারিয়ে যেতে থাকে। এর মধ্যে যদি আপনার বিয়ে সামনে হয় তাহলে তো খুবই মুশকিল। তাই হবু কনেদের মুশকিল আসান করতে আজকের এই প্রতিবেদনে থাকছে কয়েকটি Bridal Face Pack এর হদিশ, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাবে এবং হবু কনেদের মুখে আনবে এক দুর্দান্ত গোলাপি আভার ছোঁয়া। তাই আর দেরি না করে আসুন চটজলদি দেখে নি কিভাবে ঘরোয়া ফেসপ্যাকের সাহায্যে খুব সহজেই আমরা ত্বকের যত্ন নিতে পারি।

১। ১ চামচ আলুর পেস্ট, ১/২ চামচ টক দই একটি পাত্রে ভালো করে মেশান তারপর এই মিশ্রণটি সারা মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। যদি আপনার নর্মাল স্কিন হয়ে থাকে তাহলে আপনার জন্য এই ফেস প্যাকটি ভীষণ উপকারি হবে। আলু সাধারণত প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার ত্বক পাওয়ার জন্য পরিচিত। এই প্যাকটি প্রাকৃতিক ব্লিচিং এবং ময়শ্চারাইজারের ও কাজ করে থাকে।

২। রূপচর্চায় ওটমিল এর জুড়ি মেলা ভার। ওটমিল প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে খুব ভালো কাজ করে। ২ টেবিল চামচ ওটমিল (ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন), ১ চামচ চন্দনের গুঁড়ো আর কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল ভালো করে মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর ২০ মিনিট রেখে হাল্কা গরম জলে ধুয়ে নিন।

৩। ওজন হ্রাস করার সাথে ত্বকের যত্নেও বিশেষভাবে কার্যকর উপাদান হলো গাজর। ১ টি গাজর ভালো মতন পেস্ট করে তাতে ১/২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। তারপর একটি ব্রাশের সাহায্যে সারা মুখে প্যাকটি লাগিয়ে ১৫ মিনিটের জন্য ছেড়ে দিন। তারপর শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ফলাফল নিজেই দেখতে পারবেন।

৪। বিয়ের আগে কনের প্রস্তুতিতে মধু আর কলার হোমমেড ফেসপ্যাক ভীষণ কার্যকরী, দুটোই দারুণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। আধখানা কলা চটকে তার মধ্যে ১ চামচ মধু আর ১ চামচ টক দই মিশিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে নিন। এই ফেসপ্যাকটি ত্বকের দাগছোপ দূর করে অতি সহজেই।

৫। ত্বকের যত্নে টম্যাটোর জুস ভীষণ কার্যকরী। আপনি সারা মুখে টম্যাটো জুস ব্যাবহার করতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য টম্যাটো মাস্ক খুব উপকারি। টম্যাটোতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং লাইকোপিন ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং অ্যান্টি এজিং হিসেবেও কাজ করে।

বাঙালি বিয়েতে কনের সাজের সেরা বাঙালি গয়না

বাঙালি বিয়েতে কনের সাজ তার বিয়ের গয়নার ওপর অনেকটা নির্ভর করে। সাজ গোজ, গহনা প্রতিটা মেয়েরই দুর্বলতার কারণ। আর সেই সাজ গোজ যদি বিয়ের হয় তাহলে তো কোনো কথাই নেই। বাঙালি বিয়েতে কনে আইবুড়ো ভাত থেকে শুরু করে অষ্ট মঙ্গলা প্রায় সব গুলো অনুষ্ঠানেই কম বেশি সোনার গয়না পরে থাকে। আধুনিক এবং সাবেকি গয়নার সাজে প্রতিটি মেয়েই হয়ে ওঠে অনন্যা। আজকের এই প্রতিবেদনটি তাদের জন্য যারা এই সামনের বিয়ের মরশুমে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন। থাকছে পুরনো ও নতুন ধাঁচের কিছু Bengali Wedding Jewellery এর লিস্ট। বিয়ের হাজারো ধরনের শপিং এর মধ্যে যদি আপনি বিয়ের গয়না নিয়ে কনফিউজ হয়ে থাকেন তাহলে এই প্রতিবেদনটি পড়ুন এবং নিজেকে সাজিয়ে তুলুন বঙ্গনারী রুপে।

গলায় পরার গয়না

১। পাতি হার – গলার হারের নানা রকম ডিজাইনের মধ্যে পাতিহার কিন্তু খুব জনপ্রিয়, হালকা ও স্টাইলিশ বিয়ের গয়না।

২। সীতা হার – সীতা হার হলো বাঙালির ট্র্যাডিশনাল বিয়ের গয়না। এর চল বহু বছর ধরে চলে আসছে এবং এখনো অব্যহত রয়েছে।

৩। গলার চিক – গলার চিক বা আজকাল চোকার সেট বলে থাকে সবাই। হালকা ভারী যেকোনো ধরনের চোকার ডিজাইনই বিয়েতে ভীষণ ভালো মানায়।

নাকে পরার গয়না

১। নাকের নথ – নাকের নথ আজকাল ভীষণ ভাবে প্রচলিত। কিন্তু আগে যেমন বিয়ের পরও নথ পরে থাকার চল ছিল এখন সেটা অনেক কম।

কানে পরার গয়না

১। কানের ঝুমকো – কানের ঝুমকো বিয়ের সেরা গয়না গুলোর মধ্যে একটা। নানা ডিজাইনের ঝুমকো আপনি বানাতে পারেন। বিয়ের দিন অন্যান্য গয়নার সাথে কনের কানে ঝুমকো বেশ ভালো মানায়।

২। কানপাশা – এটি অনেক পুরনো দিনের গয়না। বর আকারের বসা দুল যাকে বলা হয় কানপাশা।

৩। কানবালা – আজকাল বিয়েতে কানবালা ভীষণ ট্রেন্ডি। এটি আসলে হুপ ডিজাইনের দুল। বিয়ের কনেদের কানে নকশা করা কানবালা ভীষণ মানায়।

হাতে পরার গয়না

১। চূড় – বাঙালীর সম্ভারে আরেকটি গয়না যা প্রায় সব বাঙালী বধূদের সাজের একটি পছন্দের গয়না তা হলো চূড়।

২। বালা – বিয়েতে আপনি সাবেকি ডিজাইনের অমৃতপাকের বালা, মকরমুখী বালাও পরতে পারেন কিংবা আধুনিক হালকা ডিজাইনের বালাও পরতে পারেন। দুটোই মানাবে।

৩। মান্টাসা – বাঙালী গয়না ভান্ডারের মধ্যে আরেক জনপ্রিয় গয়না হলো এই মান্তাসা। এটি নিতান্তই আপনার হাতের সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে তোলে দ্বিগুণ ভাবে।

৪। আংটি – বড়, মাঝারি বা পুরো আঙ্গুল ঢেকে রাখা আংটি আপনি আপনার সাধ্যমত বানাতে পারেন।

পায়ে পরার গয়না

১। পায়ের নূপুর – রুপোর ডিজাইন করা নূপুর কনের পায়ে একটা আলাদাই সৌন্দর্য যোগ করে। এছাড়া আপনি চাইলে পায়ের আঙুলে চুটকি ও পরতে পারেন।

বাড়িতেই বানিয়ে ফেলার সুস্বাদু কেকের রেসিপি

আর বেশিদিন বাকি নেই ক্রিসমাসের। আর বড়দিনের দিন কেক হবে না এটা কীভাবে সম্ভব। কেক খেতে তো আমরা সবাই ভালোবাসি। কিন্তু বাইরে থেকে কিনে আনা কেকের বদলে বাড়িতেই কেক বানিয়ে খাওয়ার মজাটাই আলাদা। বাড়িতে বানানো কেক স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ভালো হয় তেমন খেতেও ভালো হয়। আজ এই প্রতিবেদনে আপনাদের দেব সেরকমই দুটি সহজ কেকের রেসিপি যা আপনি বাড়িতে অতি সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারবেন। আসুন দেখে নি রেসিপি দুটো –

১। এগলেস ড্রাই ফ্রুট কেক (Eggless Dry Fruit Cake)

প্রণালীঃ প্রথমে একটি পাত্রে সামান্য হালকা গরম জলে পরিমাণ অনুযায়ী চেরি ,কাজু ,কিসমিস ও আলমন্ড টুকরো টুকরো করে কেটে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর কেক তৈরির জন্য আরও একটি মাঝারি পাত্রে দেড় কাপের মতোন ময়দা, বেকিং সোডা, ও কোকো পাউডার ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার অন্য একটি পাত্রে মাখন গলিয়ে নিয়ে তার সাথে ৩-৪ টেবিলচামচ চিনি ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর একে একে তাতে সাদা তেল, মধু , সামান্য লবন ও ভিজিয়ে রাখা ড্রাই ফ্রুট গুলো ভালো করে মিশিয়ে নিন। সব শেষে কনডেন্স মিল্ক দিয়ে ভালো করে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার ময়দার মিশ্রণটি এই পাত্রে ঢেলে ভালো ভাবে নেড়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। শেষে ভ্যানিলা এসেন্স যোগ করুন। তারপর মাইক্রোওয়েভ প্রুফ পাত্রের চারিদিকে মাখন মাখিয়ে তাতে সেই কেকের মিশ্রণটি ঢেলে মাইক্রোওয়েভে বেক করুন সুস্বাদু এগলেস ড্রাই ফ্রুট কেক।

২। চকলেট চেরি কেক (Chocolate Cherry Cake)

প্রণালীঃ প্রথমে একটি পাত্রে ডিমের সাদা অংশটি খুব ভালো করে ফেটিয়ে তার পর তাতে যোগ করুন ডিমের হলদে অংশটি মানে ডিমের কুসুম। কুসুম-সহ ডিমের সাদা অংশ আরও এক বার ফেটিয়ে নিন যাতে কুসুম ভাল ভাবে মিশে যায়। এর পর তাতে একটু একটু করে মেশাতে থাকুন চিনি ও সাদা তেল। অন্য একটি পাত্রে ময়দা, গুঁড়ো দুধ, বেকিং সোডা, কোকো পাউডার একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এর পর ডিম-চিনি-তেলের মিশ্রণে মেশাতে থাকুন চেলে নেওয়া গুঁড়ো দুধ, বেকিং সোডা, চকোলেট পাউডার ও ময়দার মিশ্রণ। সবশেষে চকোলেট এসেন্স ছড়িয়ে দিন এবং মাইক্রোওয়েভে ৩৫-৪০ মিনিট বেক করে নিন। তারপর ঠান্ডা হয়ে গেলে পরিবেশন করুন সুস্বাদু চকলেট চেরি কেক।

ঘন ঘন সর্দি কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায়

দেখতে দেখতে শীত কাল চলেই এলো আর এমন আবহাওয়ায় সর্দি-কাশির মতো সমস্যা লেজুড় হতে সময় লাগে না। একটানা সর্দি-কাশি খুবই বিরক্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করে। সব সময় কেনা ওষুধের সেবন করাটাও ঠিক নয়। তাই আজ আপনাদের দেব কিছু Natural Cold Remedies, যেগুলো বাড়িতে ট্রাই করলে আপনি সর্দি কাশি ও গলা ব্যথার হাত থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন।

১। গার্গল করুন – সর্দি কাশি হোক বা গলা ব্যথা, শুকনো কাশি হোক হালকা গরম জল করে তাতে সামান্য লবন দিয়ে গার্গল করলে খুব কাজে দেয়। গার্গল করলে গলাব্যথা কম হওয়ার সাথে সাথে কাশিও কম হয় দ্রুত।

২। হলুদের ব্যবহার – সর্দি-কাশি নিয়ন্ত্রণে হলুদ বেশ কার্যকর ঘরোয়া উপাদান। এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। এটি দ্রুত কাশি কমাতে সাহায্য করে।

৩। আদা চা – একটি পাত্রে গরম জল বসিয়ে তাতে পরিমাণ মতো চিনি, অল্প চাপাতা, এক চুটকি গোলমরিচ গুঁড়ো ও সামান্য আদা কুচিয়ে ভালো মতোন ফুটিয়ে চা তৈরি করে নিন। রাতে ঘুমনোর আগে পান করুন খুব ভালো কাজে দেয়৷

৪। মধুর উপকারিতা – মধু আমাদের শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন মধু সেবনে আমাদের সহজে ঠাণ্ডা লাগে না। রাতে শোওয়ার আগে এক চামচ মধু খেয়ে ঘুমোন আরাম পাবেন৷ মধু কাশি কমানোর পাশাপাশি গলা ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।

৫। তুলসি পাতার ব্যবহার – তুলসীপাতা সর্দি-কাশি দূর করতে বেশ কার্যকর। যদি আপনার ঘন ঘন সর্দি কাশির সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি সারা বছরই তুলসি পাতার সেবন করতে পারেন। একটি পাত্রে এক কাপ গরম জলে কুচোনো আদা, গোলমরিচ গুঁড়ো, একটা তেজপাতা ও ৩-৪ টে তুলসি পাতা ফেলে ফোটাতে আরম্ভ করুন৷ ১০ মিনিট পর সেটা নামিয়ে ছেঁকে নিন এবং তাতে এক চামচ মধু মিশিয়ে সেটা পান করুন। দেখবেন সর্দি ও কাশি কমাতে খুব দ্রুত ফল পাবেন।

৬। গরম জলে স্টিম – বড় বাটির এক বাটি গরম জল নিন তাতে সামান্য Vicks Vaporub মিশিয়ে নিন। এবার টাওয়াল দিয়ে মাথা ঢেকে নিয়ে বাটির কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে মিনিট পাঁচেক স্টিম নিন। দিনে কয়েকবার লাগাতার এইভাবে স্টিম নিলে অল্প দিনেই শরীর সুস্থ হয়ে উঠবে। বিশেষ করে কফের হাত থেকে মুক্তি মিলবেই।

রেস্তোরাঁ স্টাইলে বানানোর হেলদি চিকেন স্যুপ রেসিপি

শীত তো চলেই এলো। আর শীতের দিন মানেই সন্ধ্যে হলে গরম গরম স্যুপ খাওয়া। আজ আপনাদের এই প্রতিবেদনে জানাবো শীতকালে খাওয়ার ৩ টে চিকেন স্যুপ রেসিপি (Healthy Chicken Soup Recipe).যা আপনি বাড়িতে ট্রাই করে দেখুন ভালো লাগবে।

১। চিকেন ভেজিটেবল স্যুপ (Chicken Vegetable Soup)

প্রণালীঃ একটি পাত্রে গরম জল নিন তারপর তাতে সামান্য নুন এবং তেল মিশিয়ে চিকেন সেদ্ধ করে রাখুন। তারপর কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে পরিমাণ মতো আলু, টমেটো, ফুলকপি, পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে আদা, রসুন বাটা দিয়ে এবং চিকেন স্টক দিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে নিন। এবার একটি কাপে কর্নফ্লাওয়ার গুলিয়ে সেটা চিকেন স্টকে ঢেলে দিন। ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে গেলে কুচি করে রাখা ধনেপাতা, গোলমরিচের গুঁড়ো, পরিমাণমতো নুন এবং পাতি লেবুর রস ১০-১৫ মিনিট নাড়াচাড়া করুন। ব্যস রেডি তারপর গরম গরম পরিবেশন করুন চিকেন ভেজিটেবল স্যুপ।

২। চিকেন-লেমন-কোরিয়েন্ডার স্যুপ (Chicken Lemon Coriander Soup)

প্রণালীঃ একটি পাত্রে প্রথমে চিকেন স্টক বানিয়ে আলাদা করে রাখুন। তারপর এক কাপ চিকেন সেদ্ধ করে নিন। এবার একটি পাত্রে চিকেন স্টক ঢেলে মিডিয়াম আঁচে বসিয়ে ফুটতে দিন। এরপর মধ্যে একে একে সেদ্ধ করে রাখা চিকেন, সরু করে কেটে রাখা একটি পেঁয়াজ, দুই চা চামচ লেবুর রস, এক কাপ ধনেপাতা কুচানো, দুই চা চামচ চিলি সস, স্বাদ অনুসারে নুন ও গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে ৫-১০ মিনিট কম আঁচে ফুটিয়ে নিন। তারপর স্যুপ বোলে ঢেলে উপর থেকে লেবুর রস এবং ধনেপাতা কুচি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন চিকেন-লেমন-কোরিয়েন্ডার স্যুপ।

৩। চিকেন-চিংড়ি স্যুপ (Chicken and Prawn Soup)

প্রণালীঃ আগে থেকেই চিকেন স্টক বানিয়ে আলাদা করে রাখুন। তারপর কড়াইয়ে মাখন গরম করে তাতে কিছু চিংড়ি কুচি ভেজে নিন। এরপর সেই কুচি করে ভেজে রাখা চিংড়ি গুলো গরম গরম চিকেন স্টকের মধ্যে দিয়ে দিন। তারপর একটি কাপে কর্ণফ্লাওয়ার গুলিয়ে সেটা স্টকে ধেলে দিন। তারপর একে একে স্বাদানুসার লবণ, সামান্য চিনি,ভিনেগার, গোলমরিচ গুঁড়ো ও ১ টেবিল চামচ সয়াসস দিয়ে ১০-১৫ মিনিট ধরে সেদ্ধ করুন। হয়ে গেলে স্যুপ বোলে ঢেলে উপর থেকে চিজক্রিম দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন চিকেন-চিংড়ি স্যুপ।

তেলতেলে স্ক্যাল্প ও চুলের ঘরোয়া উপায়

তেলতেলে নেতিয়ে পড়া চুল কেউই পছন্দ করেনা। প্রত্যেকেই চায় তার মাথার চুল থাকবে ঝলমলে ও উজ্জ্বল। নিয়মিত মাথায় তেল না দেওয়া, মাথায় খুশকি, ভালো করে চুল না ধোয়া, আবহাওয়া বদল, মাথার তালু থেকে অতিরিক্ত ঘাম নির্গত হওয়া, হরমোনের সমস্যা ইত্যাদি কারনে আমাদের স্ক্যাল্প তেলতেলে হয়ে যায়। কিন্তু যদি আপনি নিয়মিত চুল এবং স্ক্যাল্পের যত্ন নেন তাহলে চুলের এই অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব আপনি দূর করতে পারবেন। কি ভাবছেন? কোনো প্রোডাক্ট বা কোনো পার্লারে যাওয়ার কথা বলব না আজ এমন কয়েকটি Oily Scalp Remedies আপনাদের সাথে শেয়ার করব যেগুলো অনুসরন করলে আপনি ঘরে বসেই তেলতেলে স্ক্যাল্পের সমস্যা থেকে নিস্তার পেয়ে যাবেন। জেনে নিন চুলের মাত্রাতিরিক্ত তৈলাক্ততা দূর করার ঘরোয়া উপায়গুলো –

১। লেবু – মাথার তালু তৈলাক্ত হওয়ার কারণে চুলও তেলতেলে হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। লেবু চুলের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সক্ষম। লেবুর শক্তিশালী ভিটামিন সি এই সমস্যার সমাধান করে দ্রুত। সপ্তাহে অন্তত দুদিন মাথার তালুতে কটন বলের সাহায্যে লেবুর রস লাগান। এই রস তালুর অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ দূর করতে সাহায্য করবে। আর চুল রাখবে ঝলমলে

২। ডিম – ডিমের কুসুমে রয়েছে ফ্যাটি আসিড যা চুলের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে ফলে স্ক্যাল্পের তৈলগ্রন্থি থেকে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত তেল নিঃসৃত হয় না এবং স্ক্যাল্প তেলতেলে করে তোলে না। মাথায় হেনা লাগানোর সময় হেনা প্যাকের মধ্যে একটি ডিম, ২ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে লাগান। এই প্যাকটি চুলে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি চুল রাখবে মজবুত আর অয়েল ফ্রি।

৩। টক দই – এ নতুন নয় আমরা বেশির ভাগই জানি টক দই ন্যাচারাল অয়েল রিমুভারের কাজ করে থাকে অর্থাৎ টক দই ত্বকের পাশাপাশি চুলেরও তেলতেলে ভাব দূর করতে সাহায্য করে। যদি আপনার অয়েলি স্ক্যাল্পের সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে অনায়াসে আপনি টক দই আর লেবুর রস মিশিয়ে হেয়ার প্যাকের মতন মাথায় ব্যবহার করতে পারেন চুলের অতিরিক্ত অয়েল কন্ট্রোল করার জন্য।

৪। এলোভেরা – তৈলাক্ত চুলের জন্য এলোভেরা সবচেয়ে উত্তম ঘরোয়া উপায়। এলোভেরা জেলের হেয়ার প্যাক মাথার তেলতেলে ভাব দূর করে অনায়াসে।

৫। গ্রিন টি – গ্রিন টি তে থাকে ভরপুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর পাশাপাশি চুলের যত্নেও কাজে আসে। গরম জলে গ্রিন টি দিয়ে ফুটিয়ে নিন, এরপর ঠাণ্ডা হয়ে এলে তার মধ্যে লেবুর রস যোগ করুন। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনারের বদলে এই জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলের তৈলাক্ত ভাব দূর করে এবং চুল পড়া রোধ ও নতুন চুল গজানোতে সহায়তা করে।

অনিদ্রা সমস্যা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

শরীর আর মন দুটোই চাঙ্গা রাখতে ভালো ঘুমের প্রয়োজন। রাতে ভালো ঘুম না হলে সারাদিন ক্লান্ত লাগে, কাজে মন বসে না, দুশ্চিন্তা, মাথা ব্যাথা, বিরক্তি ভাব, অবসাদ সহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে মানসিক ও শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে গেলে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুমনো একান্ত প্রয়োজন। অনিদ্রা সমস্যার পেছনে নানা কারণ রয়েছে যার মধ্যে আপনি রাতে কিভাবে ঘুমোন অর্থাৎ আপনার Sleeping Position কেমন সেটা জানাও ভীষণ জরুরী। আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নিন প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরে বসে অনিদ্রা সমস্যা দূর করার উপায়, কয়েকটি স্লিপিং পজিশন ও অনিদ্রা জনিত নানা পরামর্শ। যেগুলো অনুসরণ করলে খুব অনায়াসেই রাতে ঘুম না আসার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

অনিদ্রা সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়

১। কলা – কলাতে থাকে এমিনো এসিড যা অনিদ্রা দূর করতে সাহায্য করে। রাতের খাবার খাওয়ার পর একটা করে কলা খেলে ঘুম ভালো আসে। এছাড়াও এটা বার বার ঘুম ভেংগে যাওয়ার সমস্যাকেও তাড়ায়।

২। গরম দুধ – ঘুম না আসার সমস্যা দূর করতে রাতে এক গ্লাস গরম দুধ খাওয়া ভীষণ উপকারী। ঘুমোনার আগে গরম দুধ খেয়ে ঘুমোনর অভ্যাস করুন। গরম দুধ দেহ ও মনকে শান্ত করার দারুণ ঔষধ। এতে আছে ট্রাইপটফান যা অনিদ্রা দূর করে ভাল ঘুম হতে সাহায্য করে।

৩। জাফরান – এক গ্লাস গরম দুধের সাথে ২ টুকরো জাফরান ভিজিয়ে রাখুন এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে পান করে ঘুমোন। অনিদ্রা দূর করতে জাফরান অনেক ফলপ্রসূ।

রাতে ভালো ঘুম আসার স্লিপিং পজিশন

১। লগ পজিশন – পাশ ফিরে ঘুমনোর সময় পা দুটো যদি একেবারে সোজা থাকে, আর হাত থাকে থাইয়ের উপরে, তাহলে সেই পজিশনকে ‘লগ পজিশন’ বলা হয়। বেশির ভাগ মানুষই এইভাবে শুতে ভালবাসেন। এই ভাবে শুলে শিরদাঁড়ার উপর কম চাপ পরে। পিঠে-ঘাড়ে ব্যথা হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। ভালো ঘুমের জন্য এই পজিশনে আপনি ঘুমোতে পারেন।

২। পাশ ফিরে ঘুমনো – বাম দিক বা ডান দিক যে কোনো একদিকে পাশ ফিরে ঘুমোলে শিরদাঁড়ার উপর চাপ কম পরে। এই পজিশনে ঘুমোলে পিঠে, ঘাড়ে এবং কাঁধে যন্ত্রণা কম হয়। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সাইড পজিশনে ঘুমনো খুব উপকারী।

অনিদ্রা দূর করতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ

১। রাতের বেলা রিচ খাওয়ার খাওয়া যতটা পারবেন কম করুন।

২। চেষ্টা করুন রাতের খাবার রাত ৯-১০টার মধ্যে শেষ করে ফেলার।

৩। রাতে নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যান এবং সকালে নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে উঠুন।

৪। বিছানায় শুয়ে দের রাত পর্যন্ত ফেসবুক, মোবাইল, ল্যাপটপ ইত্যাদি ব্যবহার কম করুন।

৫। এছাড়াও অনিদ্রা দূর করতে এবং রাতে ভালো ঘুমোতে অতিরিক্ত টেনশন থেকে দূর থাকা প্রয়োজন।

ত্বক ও চুলের যত্নে ডিমের ব্যবহার ও উপকারিতা

ডিম খাওয়া শরীর ও সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। কিন্তু আপনি যদি ভেবে থাকেন ডিমের পুষ্টিগুণ কেবল আপনার শরীরে প্রবেশ করবে, তা কিন্তু নয়। রূপচর্চার অন্যতম উপাদান হল ডিম। ত্বক ও চুলের যত্নেও ডিমের ব্যবহার এনে দিতে পারে জেল্লা। আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের জানাবো ডিমের উপকারিতা, ত্বক এবং চুলের কোমলতা ও সুন্দরতা বাড়ানোর জন্য ডিমের কয়েকটি ফেসপ্যাক, ফেস মাস্ক ও অন্যান্য কিছু জরুরি তথ্য।

ত্বকের যত্নে ডিমের ফেসপ্যাক

১। একটি ডিম ভালো করে ফেটিয়ে তার মধ্যে দুই চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এরপর সারা মুখে এই ফেসপ্যাকটি লাগিয়ে নিন। সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জলে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন। এটি একটি অ্যান্টি এজিং প্যাক। এতে ত্বক টানটান হবে। প্রত্যেক মাসে একবার এই প্যাক আপনি ব্যবহার করতে পারেন।

২। ডিমের সাদা অংশ ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে। তৈলাক্ত ত্বকে পিম্পল, ব্রণ, ফুসকুড়ি, ব্ল্যাক হেডস, কালচে দাগ-ছোপ ইত্যাদি নানা সমস্যা লেগেই থাকে। ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করলে অত্যধিক তৈলাক্ত ত্বকের এই ধরণের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যেতে পারে। একটি ডিমের পুরো সাদা অংশ ভালো করে ফেটে তাতে আধা চামচ ময়দা ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণটি লাগিয়ে রেখে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে তেলমুক্ত,কোমল ও মসৃণ।

৩। মুখের নানা সমস্যার মধ্যে ব্ল্যাকহেডেসের সমস্যা হল অন্যতম। ব্ল্যাকহেডেস তোলার জন্য এই ফেসপ্যাক খুবই উপযোগী। ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি যেখানে ব্ল্যাকহেডেস হয়েছে, বিশেষত নাকের চারপাশে লাগিয়ে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন তারপর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

চুলের যত্নে ডিমের ব্যবহার

চুলের কোমলতা ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে ডিমের কোনো তুলনা নেই। ডিমের সাদা অংশ আর কুসুম দুটোই চুলের যত্নে ভীষণ উপকারী। ডিমে রয়েছে প্রোটিন, বায়োটিন, ভিটামিন এ, ডি আর ভিটামিন ই। যা চুলের পুষ্টি যোগাতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। দেখে নিন কয়েকটি ডিম দিয়ে তৈরি হেয়ার মাস্ক –

১। একটি পাত্রে ১ টি ডিম, ১ টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর চুলে আর স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর মাইল্ড কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই হেয়ার মাস্ক আপনার চুল আর স্ক্যাল্পের শুষ্কতা দূর করবে আর রাখবে মোলায়েম।

২। যাদের চুল ভীষণ পাতলা হয়, তারা চুলের ঘনত্ব বাড়ানোর জন্য এই হেয়ার মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন – একটি পুরো ডিম ভালোভাবে ফেটিয়ে নিয়ে তাতে ১ টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস, ২ টেবিল চামচ মধু ও ২ টেবিল চামচ টক দই ভালো ভাবে মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর পুরো চুলে ও স্ক্যাল্পে পেস্টটি লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। ভালো রেজাল্টের জন্য মাসে অন্তত একবার এই পেস্টটি লাগাতে হবে।

শরীর-স্বাস্থ্য ও রুপচর্চায় আদার উপকারিতা

শুধু মশলা হিসেবেই নয়, আদা আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী। আদার ভেষজ গুণ অনেক। সর্দি-কাশি হলে সেই এক কাপ গরম গরম আদা-চা খাওয়ার পাশাপাশি রান্নাবান্নায় স্বাদ বাড়ানো, আমাদের দৈহিক সুস্থতা রক্ষায় এমন কি রূপচর্চাতেও আদা বিশেষভাবে উপযোগী। আদায় রয়েছে বহু গুণ, নিয়মিত আদা খেলে শারীরিক অনেক সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। কি সেই আদার উপকারিতা তা জানতে অবশ্যই একবার চোখ বুলিয়ে নিন এই প্রতিবেদনে –

১। আদায় রয়েছে ভরপুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, যা শরীরের রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করে দেয়, জ্বর জালা, গলা ব্যথা ও মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরলের স্তর কমাতে,ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে, মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে, কিডনি জনিত সমস্যা ও জটিলতা দূর করতে কাজে লাগে আদা।

২। কাঁচা আদার গুণ অনেক বেশি। শীতকালে বুকে কফ জমলে, শ্বাস- প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিলে কাঁচা আদা সামান্য কুচি করে ২ কাপ জলে ফুটিয়ে নিন। কিছুক্ষণ ফুটিয়ে ছেঁকে নিন একটি কাপে এবং সাথে ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পান করে ফেলুন। এতে বেশ আরাম পাওয়া যায়।

৩। যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য আদা ভীষণ উপকারী। আদা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, অস্বস্তিকর পেট ফাঁপা ও পেটে ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে ১ কাপ আদা চা পান করলে বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।

৪। অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে বিস্ময়করভাবে আদা সাহায্য করে। আদা ও লেবুর ডিটক্স ওয়াটার প্রতিদিন ৩-৪ গ্লাস পান করলে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ন হয়।

৫। আদা খুশকির সমস্যা দূর করে। স্ক্যাল্প শুষ্ক হলে খুশকির সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক, আদা স্ক্যাল্প থেকে মরা কোষ দূর করে চুলের ভেতর পর্যন্ত পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে।

৬। আদায় থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের আগা ফেটে যাওয়া, চুল পড়া বন্ধ করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

৭। ঋতুস্রাব চলাকালীন অনেক মহিলাদেরই তলপেটে, কোমরে ও পায়ে ব্যথা হয়। আদা চা খেলে এই পিরিয়ড ক্র্যাম্প থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। চাইলে আপনি আদা চা এ চিনির বদলে মধুরও ব্যবহার করতে পারেন।

৮। কখনও বমি বমি ভাবের সমস্যা দেখা দিলে এক চাক আদা স্লাইস করে কেটে লবন দিয়ে চিবিয়ে খেলে বমি ভাব একেবারেই কেটে যায়।

৯। আদার তেল হাতে পায়ের জয়েন্টের ব্যথা নিরাময় করতে সাহায্য করে।

১০। আদায় রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান যা ওভারিয়ান ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।

লেখাটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। পড়ে ভালো লাগলে লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট অবশ্যই করবেন।

মাথা থেকে দ্রুত উকুন ঝেড়ে ফেলুন এই ঘরোয়া উপায় গুলির সাহায্যে

মাথায় উকুনের সমস্যা? রাস্তাঘাটে লোকজনের সামনে বারবার মাথা চুলকাতে হচ্ছে? আর চিন্তার কোনো প্রয়োজন নেই। উকুন যাদের মাথায় বাসা বেঁধেছে কেবল তাঁরাই বোঝে এর কি যন্ত্রণা। এই সমস্যা একবার শুরু হলে তারপর একে মাথা থেকে দূর করা ভীষণ কষ্টকর। উকুন চুলের অনেক ক্ষতি করে এমনকি চুল পড়া শুরু করে ভয়াবহ ভাবে। কিন্তু টেনশনের কোনো দরকার নেই, ঘরোয়া উপায়ে উকুনের সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব। আসুন তবে দেখে নেওয়া যাক Lice Treatment At Home, কিভাবে ঘরে বসে উকুনের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে তার কিছু কার্যকরী উপায়।

১। নিমের ব্যবহার –

চুলের উকুন দূর করতে নিম পাতা খুব ভালো কার্যকর। নিমে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল তত্ত্ব যা পোকামাকড় ও পরজীবী মারতে সক্ষম। নিম পাতা সেদ্ধ করে সে জল দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন বা নিমপাতা বেটে সরাসরি মাথার স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন তারপর শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এতে তাড়াতাড়ি খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। যতদিন পর্যন্ত মাথা থেকে উকুন পুরোপুরি ভাবে দূর না হচ্ছে ততদিন প্রতি মাসে কমপক্ষে ২-৩ বার এই উপায় অনুসরণ করুন।
এছাড়াও রাতে ঘুমনোর আগে চুল ও স্ক্যাল্পে নিম অয়েলের ম্যাসাজ করে নিন, রাতভর রেখে পরের দিন সকালে ভালোমতো শ্যাম্পু করে ফেলুন। এরপর চুল শুকিয়ে গেলে নিট কম্ব বা উকুন মারার যে চিরুনি দিয়ে সমস্ত চুল আঁচড়ে নিন। সপ্তাহে ২-৩ বার এই উপায় গুলো অনুসরন করলেই খুব দ্রুত মাথা থেকে উকুন দূর হয়ে যাবে।

২। ভিনেগারের ব্যবহার –

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ভিনেগার দিয়ে খুব সহজেই উকুন মেরে ফেলা সম্ভব। এতে থাকা অ্যাসিটিক এসিড যা দ্রুত উকুন দূর করতে এবং উকুনের ডিম মাথা থেকে ঝেরে ফেলতে সাহায্য করে। উকুন মেরে ফেলার পর তার ডিম থেকে গেলে পরবর্তীতে আবার মাথায় উকুন হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই এক্ষেত্রে আপনি আপনার রান্না ঘরের ভিনেগারকে কাজে লাগিয়ে নিতে পারেন।

ভিনেগার পুরো চুলে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। নয়ত ভিনেগার মেশানো জল দিয়ে স্নানের সময় চুল ধুয়ে নিতে পারেন। সপ্তাহে ২ বার করুন দেখবেন ধীরে ধীরে চুলে উকুনের ডিম কমে এসেছে।

৩। লেবুর রসের ব্যবহার –

উকুন রোধ করতে সবচেয়ে ব্যবহৃত উপায় হলো লেবুর রস। মাথার উকুন দূর করতে লেবুর রসের বিকল্প কিছু নেই। লেবুর রস কটন বলের সাহায্যে সারা মাথায় ভালো করে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে একবার করুন উকুন আপনার মাথা থেকে দূরে থাকবে।

Design a site like this with WordPress.com
শুরু করুন