বেনারসি শাড়ির ব্লাউজের ডিজাইন যা দেবে আপনাকে স্টাইলিশ লুক

বেনারসি শাড়ি আমাদের সকলেরই পছন্দের শাড়ির মধ্যে একটা। আর এই শাড়ি কেনাও হয় কোনো না কোনো স্পেশাল অনুষ্ঠানে পরার জন্যে। তাই এই শাড়ির ব্লাউজের ডিজাইনও কিন্তু পারফেক্ট হওয়া চাই। আজ কয়েকটি Benarasi Blouse Designs আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন, কী ভাবে বানাবেন আপনার সাধের বেনারসির পারফেক্ট ব্লাউজ।

১। চোকার স্টাইলের ব্লাউজ ডিজাইন

বেনারসির সঙ্গে ম্যাচ করে ট্রাই করতে পারেন চোকার স্টাইলের ব্লাউজ ডিজাইন। এই ব্লাউজে গলার কাছে কিছুটা অংশ ভারী জরি বা সুতো দিয়ে সুন্দর কারুকার্য করা থাকে তাই আলাদা করে আর জুয়েলারির পরার দরকার পরে না। বেনারসির সঙ্গে স্টাইলিশ লুক আনতে এই ধরণের ব্লাউজ ট্রাই করে দেখতে পারেন।

২। বোট নেক ব্লাউজ

বোট নেক ব্লাউজের ডিজাইন সব সময়ই ফ্যাশনেবল লুক আনে। আপনি বেনারসির সঙ্গে কনট্রাস্ট কালারের থ্রি কোয়াটার বোট নেক ডিজাইনের ব্লাউজও বানিয়ে নিতে পারেন। পেছনে আর হাতার ধার দিয়ে সরু জরির ডিজাইন করা থাকলে আরও ভালো লাগবে দেখতে।

৩। ব্রোকেডের ব্লাউজ

কাঞ্জিভরম বা বেনারসির সঙ্গে সাধারণত ব্রোকেডের ব্লাউজ পরার প্রচলন বহু পুরোনো। বিয়ের বেনারসির সঙ্গে জরির কাজ করা বা মিনাকারি করা ব্রোকেডের ব্লাউজ আপনি ম্যচ করে পড়তে পারেন। এটি আপনাকে একটা রয়্যাল লুক দেবে।

৪। ইউ স্টাইল ব্লাউজ ডিজাইন

সাধারণত ব্লাউজের ব্যাক সাইডে উল্টো শেপের ইউ বানিয়ে এর কাটিং হয় বলে এটির নাম ইউ স্টাইল ব্লাউজ। এ ধরনের ব্লাউজ আপনি সামনের দিকে বোট নেক স্টাইলে এবং ব্যাক সাইডে ইউ শেপে বানিয়ে বেনারসির সাথে ম্যাচ করে পড়তে পারেন। কাঞ্জিভরম বেনারসির সঙ্গে এই ব্লাউজ ডিজাইনটি ভীষণ ভালো মানায়।

৫। জারদৌসি ব্লাউজ

বেনারসি শাড়ির সঙ্গে ভারী নকশা করা জারদৌসি ব্লাউজ বেশ লাগে দেখতে। আর যদি আপনি ভারী কাজের ব্লাউজ পছন্দ না করেন তাহলে এমব্রয়েডারি বা জরির কাজ করা জারদৌসি ব্লাউজ ও পড়তে পারেন।

৬। গলাবন্ধ ব্লাউজ

আজকাল গলাবন্ধ ব্লাউজ ফ্যাশনে ভীষণ ভাবে ইন। বেনারসির কালারের সাথে ম্যচ করে হালকা সুতোর কাজের গলাবন্ধ ব্লাউজ এবং সঙ্গে থ্রি কোয়ার্টার হাতা বানিয়ে ট্রাই করতে পারেন।

বিয়ে ও রিসেপশনে বরের সাজ পোশাকের নানা ধরন

বিয়ে ও রিসেপশনের সাজ পোশাক নিয়ে বর-বউ দু’জনে টেনশনে থাকেন। আর বাঙালি বিয়েতে মেয়েদের বেনারসি আর ছেলেদের ধুতি-পাঞ্জাবি পরা ছাড়া আর যে কোনো উপায়ও নেই। তবে বউভাত হল বিয়ের ফাইনাল রাউন্ড, এদিন আপনি চিরাচরিত সাজ বদল করে নিজেকে ফ্যাশনেবল করে তুলতে পারেন। বিয়ে ও রিসেপশনে মেয়েদের সাজ পোশাকে নানা অপশন দেখা গেলেও পাত্রের সাজ পোশাক নিয়ে কিন্তু তেমন একটা মাথা ব্যাথা দেখা যায় না। তাই আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা Bengali Groom Wedding Dress নিয়ে কিছু আইডিয়া শেয়ার করব, যাতে কনের সাথে বরকেও বিয়ের অনুষ্ঠান গুলোতে অন্যদের চেয়ে পৃথক দেখায়।

১। ধুতি-পাঞ্জাবি –

বিয়ের দিন লাল টুকটুকে বেনারসি পরে থাকা বাঙালি কনের পাশে কিন্তু ধুতি পাঞ্জাবি পরা পাত্র দারুণ মানায়। ধুতি পাঞ্জাবিতে পাত্রের ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ হওয়ার সঙ্গে বাঙ্গালিয়ানার একটা অনুভুতিও প্রকাশ পায়। আজকাল পাঞ্জাবির ফ্যাশনেও প্রচুর বৈচিত্র – গুরু পাঞ্জাবি, গোল গলা পাঞ্জাবি, আচকান, সাইড গলা পাঞ্জাবি, জারদৌসি কাজের পাঞ্জাবি আরও না জানি কত ডিজাইন। আর তার পাশাপাশি ধুতির কম্বিনেশন বেশ মানায়। আপনি চাইলে পাড়ের ধুতি, কাজ করা ধুতি বা বর্ডারের ধুতিও পাঞ্জাবির সাথে ম্যাচ করে পরতে পারেন।

২। শেরওয়ানি –

ইদানীং প্রায় বেশির ভাগ বাঙালিরাই রিসেপশনের জন্য শেরওয়ানি বেছে নিচ্ছেন। রিসেপশনে কনের লেহেঙ্গা সাজের পাশাপাশি কিন্তু বরের এই শেরওয়ানি পরা হেভি লুক দিব্যি মানায়। তবে শেরওয়ানি কেনার সময় তার ফেব্রিকের মান, সুতার কাজ ও কাপড়ের ক্যোয়ালিটি মাথায় রেখে কিনুন। শেরওয়ানির রং বাছুন নিজের পছন্দ এবং আপনার স্ত্রী এর পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে বা মানানসই করে। এতে রিসেপশনের দিন দুজনকেই দেখতে ভালো মানাবে।

৩। ফর্মাল সুট, ব্লেজার-ট্রাউজার –

যদি আপনি পশ্চিমি ধরনের পোশাকে বেশি আরামদায়ক অনুভব করেন তাহলে পরতে পারেন ফর্মাল সুট, টাক্সিডো, ব্লেজার-ট্রাউজার, জ্যাকেট ইত্যাদি। তবে মাথায় রাখবেন এই ধরনের পোশাকের ফিটিং যেন পারফেক্ট হয় আর সঙ্গে জুতোও যেন ফর্মাল হয়।

৪। পাগড়ি –

টোপরের সাথে সাথে বিয়েতে বরের পাগড়িও কিন্তু এক অন্যতম অনুষঙ্গ। পাগড়ি যেন বরকে রীতিমত একটা রাজকীয় লুকে উপস্থাপন করে। তাই রিসেপশনের দিন আপনি চাইলে কাপড়ের পাগড়ি বা কারুকাজ করা পাগড়ি মাথায় পরতে পারেন।

৫। নাগরা জুতা –

বিয়েতে ধুতি পাঞ্জাবি বা শেরওয়ানি যাই পরুন না কেন পায়ে কিন্তু কোলাপুরি পরতেই হবে। কোলাপুরি স্টাইলে শুঁড়ওয়ালা নাগরা জুতোও পরতে পারেন। তবে মাথায় রাখবেন জুতোয় ভালো করে তেল মাখিয়ে রাখবেন এবং এক সাইজ বড় জুতো কিনবেন। নইলে ফোস্কা অনিবার্য।

দেখে নিন বিয়ের দিন কনেরা হাতে কি ধরনের ব্যাগ নেবেন

বিয়ের সিজন তো চলেই এলো। আপনারও কি সামনেও বিয়ে? কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভেবে উঠতে পারছেন না যে কি ধরনের ব্যগ বিয়ের দিন নেবেন। তবে বেশি ভাবনার কোনো প্রয়োজন নেই। আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের মতো হবু কনেদের জন্য রইল কিছু Bridal Handbags and Purses এর কালেকশন যা আপনি বিয়ের দিনে আপনার ব্রাইডাল লুক অনুযায়ী মিক্স ম্যাচ করে নিতে পারবেন –

১। ভেলভেট পোটলি ব্যাগ (Velvet Potli Bag) –

পোটলি ব্যাগ কিন্তু ব্রাইডাল লুকের সঙ্গে ভীষণ মানায়। বিয়েতে লাল বেনারসির সঙ্গে যদি ভেলভেট বা মখমলের এ ধরণে র পোটলি ব্যাগ ক্যারি করেন তাহলে কিন্তু বেশ লাগবে। আপনি চাইলে ব্লাউজের কালারের সাথে ম্যাচ করেও পোটলি নিতে পারেন।

২। মুক্তোর কাজ করা পোটলি ব্যাগ (Pearl Work Potli Bag) –

মুক্তো দিয়ে কাজ করা সুন্দর সুন্দর পোটলি ব্যাগও আপনি বিয়ের দিন নিতে পারেন। বেনারসির সাথে কনট্রাস্ট করে এই ধরণের পোটলি ব্যাগ ভীষণ মানায়।

৩। এমব্রয়েডারি পোটলি ব্যাগ (Embroidered Potli Bag) –

আপনার যদি ভেল্ভেট বা মুক্তোর কাজ করা পোটলি পছন্দ না হয়, তাহলে এমব্রয়েডারেড পোটলি ভালো অপশন। এই ধরণের পোটলি গুলোও বেশ জমকালো হয় যেগুলো বিয়ের দিন কনের হাতে খুব মানায়। নানা ধরণের, নানা রঙের, একরঙা, ভারী ও হালকা নকশা করা এমব্রয়েডারি পোটলি ব্যাগ আপনি আপনার পছন্দ মতো বেছে নিতে পারেন।

৪। বক্স ক্লাচ (Box Clutch) –

বিয়ের দিন আপনি ক্লাচ ব্যাগও হাতে নিতে পারেন। বক্স ক্লাচ আজকাল ভীষণ ফ্যাশনেবল এবং স্মার্ট লুক এনে দেয়। শুধু বেনারসি নয় রিসেপশনের দিন যদি ওয়েস্টার্ন গাউন পরেন, তা হলেও আপনি বক্স ক্লাচ সাথে নিতে পারেন।

৫। গোল্ডেন সুতোর কাজ করা ক্লাচ (Gold Clutch) –

বিয়ের দিন লাল বেনারসি শাড়ির সঙ্গে কনট্রাস্ট করে গোল্ডেন ক্লাচ ব্যাগ বেশ ভালো মানাবে।

৬। ফ্লোরাল ক্লাচ (Floral Clutch) –

ফ্লাওয়ার ওয়ার্ক করা এমন ছোট ছোট বক্স ক্লাচ বিয়ের দিন জাস্ট একটা দারুণ স্মার্ট লুক এনে দেবে। বেনারসি থেকে শুরু করে সব রকম সাজের সঙ্গেই ট্রাই করতে পারেন এই ধরণের ফ্লোরাল ক্লাচ।

৭। ব্রাইডাল স্লিং ব্যাগ (Sling Hand Bag) –

এছাড়াও বিয়ের দিন হাতে কিছু রাখতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন ব্রাইডাল স্লিং ব্যাগ। বিশেষ করে রিসেপশনের দিন এটা ট্রাই করতে পারেন।

হবু কনেদের জন্য সেরা রুপোর নুপুরের ডিজাইন

বাঙালি বিয়েতে কনের সাজ তার বিয়ের গয়নার ওপর অনেকটা নির্ভর করে। সাজ গোজ, গহনা প্রতিটা মেয়েরই দুর্বলতার কারণ। আর সেই সাজ গোজ যদি বিয়ের হয় তাহলে তো কোনো কথাই নেই। বিয়ের বাকি গয়না গুলোর মধ্যে পায়ের নুপুর ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিয়ের পর নতুন বৌয়ের পায়ে বাজতে থাকা ঝুমঝুম নুপুরের দিকে অনেকেরই নজর থাকে। তাই হবু কনের পায়ের নুপুরের ডিজাইন হওয়া চাই নজরকাড়া। আজকের প্রতিবেদনে রইল সেরা কয়েকটি রুপোর নুপুরের ডিজাইন। আপনি আপনার পছন্দানুযায়ী বিয়ের জন্য বানিয়ে নিতে পারেন।

১। সিলভার ক্রিস্টাল অ্যাঙ্কলেট

এই ধরনের রুপোর পায়েলে বিশেষ করে সিম্পল রুপোর ডিজাইনের মাঝে মাঝে ক্রিস্টাল বা শাইনি স্টোন দেওয়া থাকে। যা অনেকটাই আপনার পায়ের শোভা বাড়িয়ে তোলে।

২। সিলভার প্লেটেড নূপুর

বিশেষ করে আপনি যদি কোনো স্টোন ছাড়া সলিড রুপোর নুপুর পরতে চান তাহলে আপনি বিয়েতে এই ডিজাইনের পায়েল বানাতে পারেন। এই ধরনের নূপুরের ডিজাইন ভারী ও হালকা দুটোই পায়ে ভালো লাগে।

৩। স্টোন সেটিং পায়েল

রুপোর ডিজাইনের মাঝে মাঝে মাল্টি-কালারড স্টোন বসানো গর্জাস এই পায়ের নুপুরটি শুধু বিয়ে বলে নয়, তার পরেও আপনি এটি শাড়ি বা চুড়িদারের সাথে পরতে পারেন।

৪। কুন্দন যুক্ত পায়েল

কুন্দন যে কোনো গয়নার সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দেয়। কুন্দন যুক্ত নুপুর পায়ের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে এবং পা দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগে।

৫। লেয়ার যুক্ত নুপুর – পাতলা লেয়ারযুক্ত রুপোর সিলভার পায়েলগুলো দেখতে যেমন সুন্দর তেমনই সিম্পল হয়। যদি আপনি বিয়ে উপলক্ষে ভারী পায়েল পড়তে না চান তাহলে এই ধরণের পায়েল কিনতে পারেন। লেয়ার আপনি আপনার পছন্দানুযায়ী রাখতে পারেন।

রুপোর পায়েলের যত্ন করার ঘরোয়া উপায়

সুন্দর ডিজাইনের নুপুর বানালেন কিন্তু কিছুদিন ব্যবহার করার পর তা কালো হয়ে গেল। কীভাবে তার যত্ন নেবেন জানুন কয়েকটি ঘরোয়া টিপস –

১। হালকা গরম জলের মধ্যে কিছুটা টুথপেস্ট গুলিয়ে তার মধ্যে কিছুক্ষণ রুপোর গয়না গুলো চুবিয়ে রাখুন দেখবেন কালচে ভাব অনেকটা দূর হবে।

২। রুপার গয়না তেতুল জলে ১০-১৫ মিনিট চুবিয়ে রেখে ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিলেও তার চমক ফিরে আসে।

কলকাতার সবচেয়ে সস্তা জাঙ্ক জুয়েলারির মার্কেট

জুয়েলারি আমরা ছোট-বড় সবাই পরতে, সাজগোজ করতে ভালোবাসি। আজকাল ফ্যাশনে জাঙ্ক জুয়েলারি ভীষণ প্রচলিত। এগুলো দামেও হয় সস্তা আর দেখতেও হয় দারুণ। যেকোনো ধরনের পোশাকের সাথেই দারুণ মানিয়ে যায়। আজকের এই প্রতিবেদনে থাকছে সস্তা কয়েকটি Kolkata Jewellery Market এর হদিশ। যেখানে আপনি অনেক ধরনের জাঙ্ক জুয়েলারি পেয়ে যাবেন অনেক কম দামে।

জাঙ্ক জুয়েলারির নানা ধরন

১। ট্রাইবাল জুয়েলারি – বাঙালিদের পছন্দের জুয়েলারি মধ্যে অন্যতম হলো ট্রাইবাল জুয়েলারি। এই জুয়েলারি গুলো ট্র্যাডিশনাল বা শান্তিনিকেতন স্টাইলের সাথে ভীষণ মানায়। আজকাল এই ধরনের জুয়েলারি প্রায় অনেক মহিলাদের কাছেই খুব প্রিয়।

২। টেরাকোটা জুয়েলারি – এই জাঙ্ক জুয়েলারি গুলো সাধারণত পোড়া মাটির তৈরি হয়। যেকোনো ট্র্যাডিশনাল লুকের সাথে আপনি এটি ট্রাই করতে পারেন।

৩। আফগানি জুয়েলারি – জাঙ্ক জুয়েলারির মধ্যে সবচেয়ে ট্রেন্ডিং এই আফগানি জুয়েলারি। এই জুয়েলারি গুলো ট্র্যাডিশনাল এবং ওয়েস্টার্ন দুই ধরনের লুকের সাথেই ভীষণ ভাবে মানায়। আপনি চাইলে এ ধরনের সামান্য ভারী জুয়েলারিও মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে পরতে পারেন।

কলকাতার সেরা জাঙ্ক জুয়েলারির মার্কেট

১। গড়িয়াহাট – জাঙ্ক জুয়েলারি কেনার সেরা ডেসটিনেশন হলো গড়িয়াহাট মার্কেট। কলকাতার অনেক পুরনো এবং বহু জনপ্রিয় মার্কেটের মধ্যে এটি একটি মার্কেট। এখানে সারি সারি জাঙ্ক জুয়েলারির দোকান থাকলেও মজার ব্যাপার হল আপনি প্রত্যেকটি দোকানেই আলাদা রকমের ডিজাইন পেয়ে যাবেন।

২। মেট্রো প্লাজা – হো চি মিন সরণীর ওপর এই শপিং মলে আপনি সস্তায় সুন্দর সুন্দর জাঙ্ক জুয়েলারি পেয়ে যাবেন। বেশি পুরনো না হলেও জাঙ্ক জুয়েলারির সম্ভার কিন্তু এখানেও কম নয়। এছাড়াও পেয়ে যাবেন ব্র্যান্ডেড, নন-ব্র্যান্ডেড নানা ধরনের পোশাক, জুতো, ব্যাগ, নানা অ্যাক্সেসরিজ ইত্যাদি।

৩। নিউ মার্কেট – কলকাতার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে পুরনো স্ট্রিট শপিং এর জায়গা হলো নিউ মার্কেট। এখানে আপনি আপনার মনের মতোন জাঙ্ক জুয়েলারি পেয়ে যাবেন। পাশাপাশি আরও নানা ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিসও পেয়ে যাবেন। ট্রাইবাল জুয়েলারি কেনার জন্য সেরা মার্কেট হলো নিউ মার্কেট।

৪। এসপ্লানেড – এখানেও আপনি অলিতে গলিতে পেয়ে যাবেন প্রচুর জাঙ্ক জুয়েলারির দোকান। তবে এখান থেকে জাঙ্ক জুয়েলারি কেনার সময় কিছুটা দামদর করে কেনার কথা মাথায় রাখবেন।

৫। স্বভূমি – এখানেও আপনি অনেক কম দামে বেশ ভালো ভালো জাঙ্ক জুয়েলারি পেয়ে যাবেন।

গায়ে হলুদের তত্ত্ব সাজানোর টিপস

বিয়ের প্রত্যেকটা অনুষ্ঠানই মজাদার ও রোমাঞ্চকর। তার মাঝে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। বিয়ের দিন সকালের সমস্ত আনন্দ-ফুর্তি জড়িয়ে থাকে এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে। আর এই অনুষ্ঠানের মূল বিষয়ই বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়িতে এবং কনের বাড়ি থেকে বরের বাড়িতে হলুদের তত্ত্ব পাঠানো। বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই এই তত্ত্ব সাজানো নিয়ে পরিবারের সকলে বসে যায়। আজকের এই প্রতিবেদনটিও কিন্তু এই তত্ত্ব সাজানোর টিপস নিয়ে লেখা। যেখানে আপনারা পেয়ে যাবেন নানা ভাবে গায়ে হলুদের তত্ত্ব সাজানোর টিপস।

১। তত্ত্ব সাজানো এখন একধরনের শিল্পে রূপ নিয়েছে। আপনি কোনো থিমকে বেস করে গায়ে হলুদের তত্ত্ব সাজাতে পারেন। এতে আপনার সমস্ত তত্ত্ব এক ধাঁচের এবং এক ডিজাইনের লাগবে যা দেখতে ভীষণ ভালো লাগে।

২। তত্ত্ব সাজানোর আগে রঙ বেছে নেওয়াটা ভীষণ জরুরী। আপনার পছন্দ অনুযায়ী কোনো একটি উজ্জ্বল রঙ বেছে নিন তারপর একই রঙে সাজান গায়ে হলুদের সমস্ত তত্ত্ব।

৩। তত্ত্ব সাজানোর আগে বর এবং কনে দুই বাড়িরই পছন্দ আর অপছন্দের তালিকা বানিয়ে সেই বুঝে উপহার সাজিয়ে দেওয়া উচিত।

৪। পোশাক, গয়না, জুতা, কসমেটিকস এবং বাকি অ্যাক্সেসরিজের জন্য আলাদা ডালা ব্যবহার করুন আর প্রত্যেকটি ডালার ওপরে ট্রান্সপারেন্ট কাগজ দিয়ে মুড়ে দেবেন যাতে জিনিস গুলোর ওপর ধুলো না পড়ে।

৫। বর-কনের জন্য যে ডালাটি সাজাবেন সেটা তাদের পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে যাবে এমন রঙের বেছে তারপর সাজান। এতে আপনার তত্ত্ব দেখতে আরও সুন্দর লাগবে।

৬। গায়ে হলুদে যে মিষ্টির ডালা পাঠাবেন সেটা চাইলেও আপনি সাজিয়ে পাঠাতে পারেন।

৭। এছাড়াও আপনি ফল ও ড্রাই ফ্রুটস আলাদা করে সাজিয়ে দিতে পারেন। ফল বেতের ঝুড়িতে সাজিয়ে দিন। আর ড্রাই ফ্রুটস সুন্দর র‍্যাপার দিয়ে মুড়ে সোনালি ফিতে দিয়ে বেঁধে দিন। এতে দেখতে সুন্দর লাগবে।

৮। আজকাল বাজারে বিয়ের তত্ত্ব সাজানোর জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর ট্রে কিনতে পাওয়া যায়। আপনি চাইলে সেগুলোর মধ্যেও জিনিস সাজিয়ে দিতে পারেন।

বাঙালি বিয়ের নানা নিয়ম কানুন ও রীতি রেওয়াজ

বাঙালি বিয়েতে রীতি রেওয়াজ ও নিয়ম কানুনের কোনো শেষ নেই। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকটি নিয়ম মজাদার ও নানা কৌতূহলে ভরা। আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের জানাবো সেরকমই কয়েকটি মজাদার নিয়ম যেগুলো Bengali Marriage Rituals এর মধ্যে অন্যতম।

১। আইবুড়ো ভাত – আইবুড়ো ভাত বিশেষত বিয়ের আগে হবু বর ও কনেকে নিমন্ত্রণ করে ডেকে তাদের খাওয়ানোর নাম। এটি বাঙালির বহু পুরনো বিয়ের নিয়মের মধ্যে একটা। বিয়ের কয়েক মাস আগে বর এবং কনের বাড়ির সকলে মিলে বিয়ের দিন ও বিয়ের অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করে কথা পাকাপাকি করেন। তারপর আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশীরা হবু কনে বা হবু বরকে তাদের বাড়িতে ডেকে বিভিন্ন পদ রান্না করে খাওয়ান আর সাথে উপহার দেন। আইবুড়ো ভাতের এটাই মূল বিষয়।

২। দধি মঙ্গল – দধি মঙ্গল হলো বিয়ের দিন ভোরবেলা উঠে হবু কনে ও বরকে বেশ অনেকটা পরিমাণে দই, চিঁড়ে, কলা ও সন্দেশ দিয়ে মেখে খেতে দেওয়া হয়। তারপর সারাদিন তাদের উপোস থাকতে হয়। বিয়ের সমস্ত বিধি শেষ হলে তবেই তারা খেতে পারে।

৩। গায়ে হলুদ ও তত্ত্ব – কাঁচা হলুদ শিল পাটায় বেটে তার সঙ্গে সরষের তেল মিশিয়ে প্রথমে বরের মা ও বিবাহিতা বাকি মহিলারা সেই হলুদ ছেলেকে মাখায়। তারপর বেঁচে যাওয়া হলুদ মেয়ের বাড়িতে দিয়ে যাওয়া হয়। মেয়েকেও সেই হলুদ মাখিয়ে দেন তার বাড়ির আত্মীয়রা। ছেলের বাড়ির আত্মীয়রা এই হলুদের সঙ্গে মেয়ের গায়ে হলুদের শাড়ি, হলুদ আর সিঁদুর লাগানো গোটা রুই মাছ এবং অন্যান্য উপহার নিয়ে আসেন যাকে গায়ে হলুদের তত্ত্ব বলা হয়।

৪। বর বরন – সন্ধ্যে বেলায় বর বিয়ে করতে এলে মেয়ের মা তাকে মিষ্টি জল খাইয়ে বরন করেন।

৫। আশীর্বাদ – আশীর্বাদ পর্বটি অনেকে বিয়ের কিছুদিন আগে পাটিপএ হয়ে গেলেই সেরে ফেলেন অনেকে আবার বিয়ের দিন সারেন। উভয়পক্ষের বাড়ির গুরুজনেরা আশীর্বাদ করে সোনার গয়না উপহার দেন।

৬। শুভদৃষ্টি ও মালাবদল – এটি বাঙালি বিয়ের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্তের মধ্যে একটি। বর এলে কনেকে পিঁড়িতে বসিয়ে নিয়ে আসা হয়। কনের মুখ পান পাতা দিয়ে ঢাকা থাকে। বরের চারপাশে কনেকে সাতবার ঘোরানো হয়, তারপর কনে মুখ থেকে পান পাতা সরিয়ে বরের দিকে তাকায় এবং উভয়েই একে অপরকে মালা পরায়।

৭। সাতপাকে ঘোরা – জীবনভর এক সঙ্গে সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাতে বর এবং কনে বিয়ের কুঞ্জতে সাত পাক ঘুরে সাত প্রতিজ্ঞা করে একে অপরকে।

৮। সিঁদুর দান – সব শেষে সিঁদুর দান। বাঙালি বিয়েতে সিঁদুর দানের ক্ষেত্রে একেক বাড়িতে একেক নিয়ম আছে। কেউ ধান মাপার কুনকে, কেউ রূপোর টাকা, কেউ আংটি আবার আর কেউ বা দর্পণ দিয়ে কনেকে সিঁদুর পরিয়ে তার সিঁথি রাঙিয়ে দেয়।

কলকাতায় প্রি ওয়েডিং ফোটো শ্যুটের সেরা জায়গার তালিকা

সামনেই বিয়ে ঠিক কিন্তু প্রি-ওয়েডিং ফোটোশুটের প্ল্যানিং করেছেন কি? যদি আপনি আপনার Pre Wedding Photoshoot Kolkata – তে করানোর কথা ভেবে থাকেন তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি আপনাকে সাহায্য করবে। কলকাতা শহরের এমন কিছু জায়গা সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চলেছি, যেগুলি ইতিমধ্যেই প্রি-ওয়েডিং ফোটোশুট ডেস্টিনেশন হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ঝটপট দেখে নিন সেই জায়গা গুলি –

১। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কলকাতার গর্ব। সাদা মার্বেলের সৌন্দর্য, আর্কিটেকচার, সবুজ গালিচা, লেক এবং চারিদিকের খোলা জায়গা এটিকে একটি উল্লেখযোগ্য প্রি ওয়েডিং ফটো শ্যুট কেন্দ্র করে তুলেছে। ফোটোগ্রাফারদের কাছে স্বপ্নের জয়গা হল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। যে কোনো দিনই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ফটো শ্যুটের জন্য সুপার হিট।

২। প্রিন্সেপ ঘাট

প্রিন্সেপ ঘাট কলকাতার অন্যতম প্রাচীন বিনোদন স্থান। অনেক কাপলদেরই এখানে গঙ্গা নদীর তীরে মনোরম পরিবেশে সময় কাটাতে, নৌকাতে রোমান্টিক ডেট উপভোগ করতে দেখা যায়। তাই তো রোমান্টিক ফটো শ্যুটের জন্য প্রিন্সেপ ঘাট সেরা ডেস্টিনেশন।

৩। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি

যদি আপনি কোনো ট্র্যাডিশনাল থিম ট্রাই করতে চান তাহলে কলকাতা জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি আপনার প্রি ওয়েডিং ফটো শ্যুটের জন্য বেস্ট লোকেশন। কারণ, ঠাকুরবাড়ির দালান এবং গালিচা এতটাই নজরকাড়া এবং আকর্ষণীয়। ট্র্যাডিশনাল ড্রেসে ফোটো তোলার জন্য যেমন ধরনের লোকেশন প্রয়োজন, তা সবই মজুত রয়েছে এখানে।

৪। ইকো পার্ক

রাজার হাটের এই শহুরে উদ্যান ভারতের সবচেয়ে বড় পার্কের মধ্যে অন্যতম। কলকাতার প্রি ওয়েডিং লোকেশন গুলোর মধ্যে এটি ভীষণ জনপ্রিয় ও পছন্দের জায়গা প্রায় সব কাপলদের। কারণ পার্কটি নানা ধরনের উপ-অংশে বিভক্ত যেমন ফুলের বাগান, বাঁশের বাগান, চা বাগান, প্রজাপতির বাগান। এসব তো রয়েছেই, সঙ্গে বোট রাইডের ব্যবস্থাও আছে। ইচ্ছে হলে ইকো আইল্যান্ডে গিয়ে জলে পা ছুবিয়েও ছবি তুলতে পারেন। এছাড়াও রয়েছে পৃথিবীর সপ্তমটি আশ্চর্যের অনুকরণে তৈরি সাতটি রেপ্লিকাও। তাই একটু আলাদা স্টাইলে ফোটো তোলার জন্য ইকো পার্কের থেকে ভালো জায়গা আর কিছু হতে পারে না।

৫। বোটানিক্যাল গার্ডেন

কলকাতার কাছেই হাওড়া, শিবপুরে রয়েছে বোটানিক্যাল গার্ডেন। এটি কলকাতার সেরা প্রি ওয়েডিং লোকেশন গুলোর মধ্যে অন্যতম। দীর্ঘ এলাকা জুড়ে রাস্তার উভয় পাশে বিভিন্ন ধরণের গাছপালা, শতাব্দী প্রাচীন বট গাছ এবং ছোটো ছোটো লেক যেন শহরের জাঁকজমক থেকে আলাদাই একটা পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। আপনি যদি প্রকৃতি প্রেমী হন তাহলে প্রি-ওয়েডিং ফোটোশুটের জন্য এর থেকে ভালো জায়গা আর কিছু হয় বলে তো মনে হয় না। যে কোনও গাঢ় রঙই ছবিকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়। আর বোটানিক্যাল গার্ডেন মানেই সবুজের ছড়াছড়ি।

কলকাতার সেরা ওয়েডিং ফটগ্রাফারদের তালিকা

পারফেক্ট ফোটোগ্রাফি মোটেই বাচ্চাদের খেলা নয়। আর সে যদি আবার বিয়ের ফটোগ্রাফি হয় তাহলে তো সেই ব্যাপারে রিস্ক নেওয়া একদমই ঠিক নয়। বিয়ে, বাসি বিয়ে, বৌ-ভাত সব মিলিয়ে কত অনুষ্ঠান, কত নিয়ম রীতি রেওয়াজ। তাই জীবনের এই বিশেষ মুহূর্ত গুলিকে যদি সুন্দর ভাবে ফ্রেমে ধরে রাখতে চান, তাহলে বিয়ের ফোটোগ্রাফার নির্বাচনের ক্ষেত্রে হটকারি সিদ্ধান্ত একদম নেবেন না। বরং আপনার বাজেট দেখে একটু খোঁজ-খবর নিয়ে তারপর ফাইনাল করবেন। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের দেবো কয়েকজন ফোটোগ্রাফারের হদিশ যারা কিনা Kolkata Wedding Photographers দের তালিকায় প্রথম সারিতে রয়েছেন। আপনি আপনার জীবনের সব থেকে বড় দিনটির দায়িত্ব এদের হাতে দিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন।

১। কলকাতা ওয়েডিং টেলস (Kolkata Wedding Tales)

কলকাতার সেরা ওয়েডিং ফটোগ্রাফারদের তালিকায় কলকাতা ওয়েডিং টেলস অন্যতম। এদের ক্রিয়েটিভ ফোটোগ্রাফি সত্যিই ভীষণ সুন্দর। তাই জীবনের সবথেকে বড় অনুষ্ঠান আপনার বিয়ের ছোট-বড় নানা মুহূর্ত গুলো ফোটো ফ্রেমে সুন্দর ভাবে বন্দী করতে আপনি এই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

ওয়েবসাইট (Website): http://www.kolkataweddingtales.com

২। সৃজন ইমেজারি (Srejon Imagery)

আজকাল ক্যানডিড ফোটোগ্রাফি প্রত্যেকেরই ভালো লাগার লিস্টে প্রথমে। আর ক্যানডিড ফোটোগ্রাফির মাধ্যমে বিয়ের ছোট ছোট মুহূর্ত গুলিকে ধরে রাখাই সৃজন ইমেজারির বৈশিষ্ট্য। আরও একটি বৈশিষ্ট্য হলো তাঁর ছবিতে আলোর ব্যবহার যা ছবিকে বাস্তবিকই আকর্ষণীয় ও নজরকাড়া করে তোলে।

ওয়েবসাইট (Website): srejonimagery.com

৩। রিগ ফোটোগ্রাফি (Rig Photography)

সবার থেকে একটু অন্যরকম যদি ফটোগ্রাফি চান তাহলে আপনি রিগ ফোটোগ্রাফির ওপর ভরসা রাখতেই পারেন। বিয়ের প্রত্যেকটি অনুষ্ঠান, প্রি-ওয়েডিং, স্টেজ এবং ডেস্টিনেশন ওয়েডিং ফোটোগ্রাফিতেও এরা সমান ভাবে পটু।

ওয়েবসাইট (Website): http://www.rigbiswas.com

৪। ঋতব্রত মুখার্জি (Ritabrata Mukherjee Photography)

কলকাতা ওয়েডিং ফটোগ্রাফির তালিকায় ঋতব্রত মুখার্জির নাম বেশ জনপ্রিয়। তিনি ওয়েডিং ফোটোগ্রাফির সঙ্গে প্রি-ওয়েডিং ফোটোশুট, ডেস্টিনেশন ওয়েডিং এবং কাপল পোট্রেটের মতো ফোটোগ্রাফিতেও সমান দক্ষতা অর্জন করেছেন।

ওয়েবসাইট (Website): http://www.ritabrata.com

৫। পিক্সোনোভা (Pixonova)

পিক্সোনোভার কর্ণধার হলেন ঋষব চক্রবর্তী। ফিল্ম ও ফোটোগ্রাফি ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে বহুদিন ধরেই তিনি যুক্ত। তাঁর তোলা প্রতিটি ছবি যেন কথা বলে। জীবনের স্পেশাল দিনটিতে আপনার সকল ছোটো বড় মুহূর্ত গুলোকে ফ্রেমে বন্দি করতে আপনি অবশ্যই পিক্সোনোভা বুক করতে পারেন।

ওয়েবসাইট (Website): pixonova.com

দুধ চা থেকে লাল চা পান করা শরীরের পক্ষে বেশি উপকারী

সকাল সকাল ঘুম ভাঙ্গার পর গরম গরম চায়ে চুমুক দেওয়ার মজাই আলাদা, চা না হলে যেন আমাদের চলেই না। আবার তা যদি লাল চা হয় তাহলে তো কোনো কথাই নেই। তবে আপনি কি জানেন লাল চা আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যে ঠিক কীভাবে কাজে লাগে? লাল চায়ের উপকারিতা কি? দুধ চা মুখের স্বাদে ভালো লাগে ঠিকই কিন্তু তা শরীরের কোনো উপকারেই কাজে আসে না। আজকের আমাদের এই প্রতিবেদন কিছু Benefits of Black Tea নিয়েই লেখা। যদি এক কাপ লাল চা নিয়মিত খান তাহলে আপনার মনের পাশাপাশি তা আপনার শরীরের অনেক উপকারেও আসবে। তাহলে জেনে নিন লাল চায়ের কিছু উপকারিতা।

১। হার্টকে সুস্থ রাখতে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে লাল চায়ের কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। লাল চা তে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ হার্টের রোগকে দূরে রাখে, রক্তচাপ ও স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে।

২। শরীরের ক্লান্তি ও মনের অবসাদ দূর করতে চায়ের কোনো বিকল্প নেই। লাল চা স্ট্রেস কমাতে ভীষণ ভাবে উপকারী। সেই সঙ্গে মনকে চনমনে ও ফ্রেশ করে তুলতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।

৩। হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। প্রতিদিন লাল চা পান করুন এতে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। পাশপাশি গ্য়াস্ট্রিকের মতো সমস্যা দূর করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে লাল চা।

৪। লাল চায়ে উপস্থিত ফাইটোকেমিকালস শরীরের হাড়কে শক্তপোক্ত করে তোলে এবং আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়।

৫। লাল চায়ে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকেও রক্ষা করে।

৬। প্রতিদিন নিয়ম করে এক কাপ লাল চা আপনাকে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের হাত থেকে বাঁচাতে পারে।

৭। নিয়মিত লাল চা খাওয়া শুরু করলে রক্তে থাকা খারাপ কোলেস্টরের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে এবং লাল চা রক্তের খারাপ কোলেস্টরল কমাতে সহায়তা করে।

লেখাটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে একদম ভুলবেন না।

Design a site like this with WordPress.com
শুরু করুন