রোজকার ফ্যাশনে কুর্তির নানা ডিজাইন

চলতি ফিরতি ফ্যাশনে আজকাল কুর্তির ভূমিকা প্রচুর। রোজকার দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে অফিস কাছাড়ি, কলেজ, উৎসব – অনুষ্ঠান, বিয়েবাড়ি প্রায় সব জায়গাতেই আমাদের রোজের সঙ্গী কুর্তি। তাই এই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের জন্য থাকছে কিছু দারুণ স্টাইলিশ কুর্তি ডিজাইন। ছোট বড়  যে কোনও বয়সের মহিলারাই এই ধরনের কুর্তি গুলো পরতে পারবেন, যেমন – 

১। আনারকলি স্টাইল কুর্তি

আনারকলি স্টাইলের কুর্তি সব সময়ই ফ্যাশনে ইন। ট্র্যাডিশনাল আর এথনিক লুকের জন্য এই ধরনের কুর্তির স্টাইল একদম পারফেক্ট। আনারকলি কুর্তির নীচের ঘাগরার মতো ঘের, ফ্যাব্রিক আর এমব্রয়ডারির ডিজাইন এতটাই আকর্ষণীয় হয় যে কম থেকে মধ্যবয়সি যে কোনও বডি শেপের মহিলারাই এটি পরতে পারেন। এই ধরনের কুর্তির সঙ্গে আপনি চাইলে অ্যাঙ্কল লেংথ বা ফুল লেংথ এর লেগিংস পরতে পারেন।

২। জ্যাকেট স্টাইল কুর্তি

কুর্তির উপর আলাদা করে একটা জ্যাকেট থাকে তাই এ ধরনের কুর্তিকে জ্যাকেট স্টাইল কুর্তি বলা হয়। এই ধরনের কুর্তি অফিস, কলেজে পরার জন্য বেস্ট অপশন। লং অথবা শর্ট আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন।

৩। বোট নেক স্টাইলের কুর্তি

বোট নেক স্টাইলের কুর্তি ডিজাইন আজকাল খুব চলছে। এই ধরনের নেক স্টাইলের কুর্তি আপনাকে স্মার্ট লুক দেবার সাথে আপনার মধ্যে কনফিডেন্সও আনে। আপনি চাইলে বোট নেক ডিজাইনের সাথে স্লীভলেস হাতা বা থ্রি কোয়াটার হাতাও পরতে পারেন।

৪। হল্টার নেক কুর্তি

হল্টার নেক স্টাইলের কুর্তি দেশি স্টাইলে এনে দেয় ওয়েস্টার্ন টাচ। যারা বিশেষ করে স্লীভলেস স্টাইলের কুর্তি পরতে পছন্দ করে তারা অবশ্যই এই ধরনের কুর্তি ট্রাই করতে পারেন।

৫। লং স্ট্রেট কুর্তি

এই ধরনের কুর্তি গুলো ভীষণ স্টাইলিশ লুক আনে। যে কোনও অনুষ্ঠানে আপনি লং স্ট্রেট কুর্তি ক্যারি করতে পারেন। সব বয়সের মহিলাদের জন্য এটি পারফেক্ট।

৬। ভি-নেক স্টাইলের কুর্তি

ঘেরওয়ালা কুর্তির সঙ্গে এই স্টাইলের নেক ডিজাইন আপনি ট্রাই করে বানিয়ে নিতে পারেন। রোজকার পরার জন্য এই ধরনের কুর্তি বেশ ভালো অপশন। 

৭। কাফতান স্টাইল কুর্তি

ঢিলেঢোলা, হালকা, খোলামেলা এই ধরনের কুর্তি গুলি গরম কালে বেশ আরামদায়ক এবং নিঃসন্দেহে স্টাইলিশও বটে। সব বয়সী মহিলারাই পরতে পারেন। চাইলে রোজকার ড্রেস হিসেবেও ট্রাই করতে পারেন।

৮। শার্ট কলার স্টাইল কুর্তি

এই ধরনের কুর্তির কলার শার্টের কলারের ডিজাইনে হয়। অফিসে বা কলেজে এই ধরনের কুর্তি ভীষণ স্মার্ট লুক এনে দেয়। শার্ট কলার কুর্তির সঙ্গে লেগিংস, জেগিংস, প্যান্টস, পালাজো ভাল মানায়। চাইলে আপনি এর সাথে জ্যাকেটও ট্রাই করতে পারেন।

সেরার সেরা বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা, মেসেজ ও এস এম এস

প্রত্যেকটি দাম্পত্য জীবনে বিবাহ বার্ষিকী মানেই স্পেশাল একটি দিন। এই বিশেষ দিনটিতে সেলিব্রেট করার সাথে সাথে আন্তরিকতার ছোঁয়ায় ভরা বিবাহ বার্ষিকী শুভেচ্ছা পেতে কার না ভালো লাগে বলুন। তাই আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের সাথে শেয়ার করব এমন কিছু বিবাহ বার্ষিকী শুভেচ্ছা ও মেসেজ যা প্রিয়জনের সাথে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব বা ঘনিষ্ঠ কাউকে পাঠাতে পারেন।

বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা আপনার প্রিয়জনের জন্য

১। আজকের এই বিশেষ দিনে আমি তোমায় বলতে চাই, তুমিই আমার সব খুশীর কারণ, যে ভালবাসা তুমি দিয়েছো আমায়,তা যেন এমনই থাকে সারা জীবন, শুভ বিবাহবার্ষিকী ডিয়ার।

২। জীবন আমাকে হয়ত আরও অনেক কারণ দিয়েছে খুশি থাকার, কিন্তু আমি সবথেকে খুশি কারণ জীবন আমাকে তোমার মতন একট উপহার দিয়েছে সাথে… শুভ বিবাহবার্ষিকী।

৩। আমাদের ভাগ্যটাই শুধু পরস্পরের সাথে জুড়ে নেই, মনটাও জুড়ে আছে একে অপরের সঙ্গে কারণ আমরা স্বামী-স্ত্রী কম একে অপরের বন্ধু বেশি। শুভ বিবাহবার্ষিকী।

৪। যতই সময় যাক কিংবা বয়স বাড়ুক, জীবনের শেষ দিন অবধি শুধু তোমায় ভালবেসে যাব। শুভ বিবাহবার্ষিকী সোনা।

বিবাহ বার্ষিকীর মেসেজ যা আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব বা ঘনিষ্ঠ কাউকে পাঠাতে পারেন

১। তোমাদের জীবন হয়ে উঠুক আরও মধুময়। প্রতি বছর তোমাদের প্রেম আগের থেকে যেন হয়ে ওঠে দ্বিগুন। তোমাদের জানাই শুভ বিবাহ বার্ষিকীর অনেক শুভেচ্ছা।

২। আজকের এই বিশেষ দিনে তোমাদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। এই দিনটি বছর বছর ফিরে আসুক তোমাদের জীবনে। শুভ বিবাহ বার্ষিকী।

৩। এই শুভেচ্ছা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দম্পতির জন্যে, সর্বদা যেন বসন্ত বিরাজ করে তোমাদের খুশীর অরণ্যে। শুভ বিবাহ বার্ষিকী।

৪। কত ছোট্টবেলার সাথী তুই আমার বন্ধু। আজ তোদের জীবনের এই স্পেশাল দিনটাতে আমি মন থেকে প্রার্থনা করি ভগবান তোদের যেন সব আশা পূর্ণ করেন।

৫। তোমাদের বিবাহিত জীবনের আরো একটা সুখময় বছর শুরু হতে চলেছে। এ রকম অনেক অনেক বছর তোমরা এক সাথে ভাগ করে নাও জীবনের সব খুশী। শুভ বিবাহবার্ষিকী।

৬। তোমাদের ভালোবাসা যেন সারাজীবন বেঁচে থাকে তার জন্য আমার তরফ থেকে তোমাদের জন্য রইল বিবাহ বার্ষিকীর সেরা শুভেচ্ছা।

৭। তোমাদের একসঙ্গে দেখে আমি খুবই আনন্দিত। তোমাদের ভালোবাসা বছরের পর বছর এমনই অটুট থাকুক এই কামনা করি। শুভ বিবাহ বার্ষিকী।

৮। বিবাহ বন্ধনের আরও একটি বছর একসাথে পার করার সাথে তোমাদের জানাতে চাই বিবাহ বার্ষিকীর অনেক শুভেচ্ছা। ভগবানের কাছে আজকের দিনে প্রার্থনা করব তিনি তোমাদের দাম্পত্য জীবন খুশিতে ভরিয়ে তুলুক। শুভ বিবাহ বার্ষিকী।

৯। যখন প্রেম করতিস দু’জনে তখন থেকে তোদের ঝগড়া থামাতে থামাতে আমার মাথার সব চুল পড়ে গেছে। এবার একটু ক্ষান্ত দে! অনেক ভালোবাসা ও শুভ কামনা রইল তোদের জন্য, শুভ বিবাহ বার্ষিকী।

১০। ভালবাসার বন্ধন হোক রুপোর মতো চকচকে, সারাজীবন থাক তার ঔজ্জ্বল্য। শুভ বিবাহ বার্ষিকী।

নজরকারা ১০টি ব্রাইডাল মেহেন্দির ডিজাইন

দেখতে দেখতে এ বছরের বিয়ের সিজন চলেই এলো। আর বিয়েতে মেহেন্দি পড়তে ভালোবাসে না এমন বোধহয় কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই আজকের এই প্রতিবেদনে হবু কনেদের জন্য রইল নজরকারা ১০টি সেরা ব্রাইডাল মেহেন্দি ডিজাইন। শুধু হবু কনেরাই নয় বিবাহিত -অবিবাহিত, কিশোরী বা মধ্যবয়স্ক প্রত্যেকেই এই সুন্দর সুন্দর নকশা করা মেহেন্দি ডিজাইন গুলো হাতে পরতে পারেন। তাহলে আর দেরি না করে চটজলদি দেখে নেওয়া যাক –

১। ট্র্যাডিশনাল মেহেন্দি ডিজাইন (Traditional Mehndi Designs)

বিয়ের দিনের জন্য আপনি বেছে নিতে পারেন ট্র্যাডিশনাল মেহেন্দি ডিজাইন টি। এছাড়াও যারা নববধূ তারাও অবশ্যই এই মেহেন্দির ডিজাইনটি ট্রাই করতে পারেন। খুবই সাধারন কিন্তু গর্জাস একটি মেহেন্দি ডিজাইন।

২। ফ্লোরাল মেহেন্দি ডিজাইন (Floral Mehndi Design)

এই ডিজাইন টি বেশির ভাগ মেয়েদেরই খুব পছন্দের ডিজাইন। সুন্দর সুন্দর ফুলের ডিজাইন বা আপনার পছন্দের ফুল গোলাপ বানিয়ে একটা সুন্দর ফ্লোরাল ডিজাইন আপনি এঁকে নিতে পারেন। আর এই ডিজাইন টি এখন ভীষণ ট্রেন্ড ও করছে।

৩। অ্যারোবিক স্টাইল মেহেন্দি ডিজাইন (Arobic Mehndi Design)

যারা খুব একটা ভরাট ডিজাইন পছন্দ করেন না তারা এই ধরনের ব্রাইডাল মেহেন্দি ডিজাইন অনায়াসেই ট্রাই করতে পারেন। কারন ট্র্যাডিশনাল মেহেন্দি ডিজাইন ঘন ঘন হয় কিন্তু অ্যারোবিক স্টাইল মেহেন্দি ডিজাইন অল্প ফাঁকা ফাঁকা হয়।

৪। সার্কুলার মেহেন্দি ডিজাইন (Circular Mehndi Design)

যদি আপনি হাজিবিজি না এঁকে সামান্য গোল গোল করে খুবই সিম্পল ও সাধারন মেহেন্দি ডিজাইন পরতে ভালোবাসেন তাহলে আপনার জন্য সেরা অপশন হলো সার্কুলার মেহেন্দি ডিজাইন। যা আপনি খুব সহজেই বানিয়ে নিতে পারবেন।

৫। পার্সোনালাইজড মেহেন্দি ডিজাইন (Personalised Mehendi Design)

ফুল, কলকা বা অন্যান্য মেহেন্দি নকশা গুলো ছাড়া একটু আলাদা ধরনের মেহেন্দির ডিজাইন পরতে চাইলে পার্সোনালাইজড মেহেন্দি ডিজাইনটি অবশ্যই ট্রাই করে দেখতে পারেন। আপনার যা পছন্দ তা আপনি মেহেন্দির মাধ্যমে নিজের হাতে আঁকিয়ে নিতে পারবেন।

৬। থ্রি-ডি স্টাইল মেহেন্দি ডিজাইন (3D Style Mehendi Design)

এটি হাল আমলের মেহেন্দি ডিজাইন বলতে পারেন। এই স্টাইলে মেহেন্দি পরলে হাতে একটা থ্রি-ডি এফেক্ট আসে।

৭। বর্ডার মেহেন্দি ডিজাইন (Border Mehndi Design)

এই ধরনের মেহেন্দি পরানোর সময়ে বর্ডারের ডিজাইনের ওপরে বেশি জোর দেওয়া হয় অর্থাৎ হাইলাইট করা হয়।

৮। মুঘল মেহেন্দি ডিজাইন (Mughal Style Mehndi Design)

এই ধরণের ডিজাইন হাতে খুবই সুন্দর লাগে দেখতে। মুঘল যুগের নানা রাজকীয় আচার-অনুষ্ঠান, রিতি-রেওয়াজ এমন কি নবাব এবং তাঁর বেগমদের প্রেমের গাথা মেহেন্দির ডিজাইনে এঁকে দেওয়া হয় কনের হাতে।

৯। মিরর ইমেজ মেহেন্দি ডিজাইন (Mirror Image Mehndi Design)

দু’হাতে এক প্যাটার্নের মেহেন্দি পরানো হয় যা হাতে মিরর এফেক্টের মতোন দেখতে লাগে। এই ডিজাইনের মেহেন্দিও বিয়ের দিন হাতে দেখতে খুবই ভালো লাগে।

১০। রয়্যাল মেহেন্দি ডিজাইন (Royal Mehndi Design)

অনেকটাই মুঘল ডিজাইনের মতো এটি। তবে আপনি চাইলে নিজের ইচ্ছেমত একটু কাস্টমাইজড করেই নিতে পারেন।

তাহলে আর দেরি না করে জলদি বুক করে ফেলুন মেহেদি আর্টিস্ট কে আর নিজের পছন্দানুযায়ী সেরা মেহেন্দির ডিজাইন বিয়ের দিন হাতে লাগিয়ে নিন

পছন্দের সেরা ৫ টি বাঙালি ট্র্যাডিশনাল শাড়ি

বাঙালি নারীদের পছন্দের পোশাক গুলির মধ্যে অন্যতম হলো শাড়ি। বিয়েবাড়ি, স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে পুজো-পার্বণ, অনুষ্ঠান বা ঘরোয়া কোন প্রোগ্রাম – প্রতিটি অনুষ্ঠানে শাড়ি থাকবেই। কেউ পছন্দ করে সুতির শাড়ি কেউ বা জামদানি, কারোর আবার তাঁত ছাড়া চলে না। তাই আজকের আমার এই প্রতিবেদনটি লেখা কয়েকটি জনপ্রিয় Traditional Bengali Saree নিয়ে। যেগুলো প্রায় প্রত্যেক বাঙালি নারীদেরই খুব পছন্দের। তাহলে আর দেরি না করে আসুন দেখে নেওয়া যাক বাংলার সেরা ট্র্যাডিশনাল শাড়ি কোনগুলি –

১। তাঁতের শাড়ি (Tant Saree)

বাঙালি নারীদের পছন্দের শাড়ির মধ্যে প্রথম দিকেই তাঁতের শাড়ির নাম থাকে। এই শাড়ি বাংলার আবহাওয়া সংস্কৃতির সঙ্গে একেবারে মানানসই। বাঙালি নারীর সঙ্গে তাঁতের শাড়ির সম্পর্ক আজকের নয় বহু দিনের। এ শাড়িতেই যেন ফুটে ওঠে বাঙালি নারীর চিরায়ত রূপ। এর নকশাতেও থাকে স্থানীয় সংস্কৃতির ছোঁয়া। পাড়ের নকশাই বলুন কিংবা শাড়ির জমির বুটি, ফুল পাতা কলকা ডিজাইনের সবটাই একান্তভাবে বাংলার নিজস্ব। তাঁতের শাড়ি সারা বছর পরা যেতে পারে। তাঁতের শাড়ির পাড়েই সমস্ত আকর্ষণ। মোটা বা চিকন যে কোনো পাড়ের তাঁতের শাড়িই সব সময় ব্যবহারের জন্য বেস্ট অপশন। কিন্তু গরমকালে তাঁতের শাড়ি হলো সবচেয়ে আরামদায়ক। গরমকালে অতিরিক্ত ঘাম হয় তাই এমন জাতীয় পোশাক পরা ভালো যেগুলো ঘাম শুষে নিতে পারে।

২। জামদানি শাড়ি (Jamdani Saree)

বাংলার শাড়ি প্রেমী নারীদের পছন্দের তালিকায় অন্যতম হলো ঢাকাই জামদানি শাড়ি। যা বোনা হয় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় তাই এর নাম ঢাকাই জামদানি। জামদানি শাড়ি হাতে বোনা হয় তাই এই শাড়ির ডিজাইন হয় খুব সূক্ষ্ম, নিখুঁত এবং মসৃণ। প্রতিটি সুতো কারিগরেরা হাত দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বুনন করেন। যত সূক্ষ্ম সুতোর কাজ, তত দামি জামদানি! ঢাকাই ছাড়াও আরো তিন রকমের জামদানি পাওয়া যায় – ধনিয়াখালি, শান্তিপুরি ও টাঙ্গাইল।

৩। বাটিক প্রিন্ট (Batik Print Saree)

বাটিক অতি প্রাচীন একটি শিল্প। বাটিক হল আসলে শাড়ি রং করার একটি প্রক্রিয়া। বাটিক প্রিন্টের শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবি, শার্ট, ফতুয়া ইত্যাদি দেখতে ভীষণ আকর্ষণীয়, আরামদায়ক ও অতি সুলভেই পাওয়া যায় বলে এটি সহজেই সবার মনে স্থান করে নিয়েছে।

৪। বালুচরী শাড়ি (Baluchari Saree)

মুর্শিদাবাদ জেলার বালুচর নামক স্থানে বালুর চরে বসে এই শাড়ি বোনা হয়েছিল বলে বিক্রয় কেন্দ্রের নামেই এই শাড়ির নাম হয় বালুচরী শাড়ি। লতা পাতা, ফুল দিয়ে নানান নকশা করা বিভিন্ন ধরনের বালুচরী শাড়ি পাওয়া যায়। যেমন – জ্যামিতিক প্যাটার্ন করা, কাশী বালুচরি শাড়ি, মীনাকারি করা বালুচরী শাড়ি, রামধনু বালুচরী শাড়ি ইত্যাদি। বিয়েবাড়ি বা বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে পরার জন্য এই শাড়ি পারফেক্ট।

৫। ছাপা শাড়ি – (Cotton Chapa Saree)

এই ধরনের শাড়ির আসল চমক এর ছাপায় মানে প্রিন্টে তাই এর নাম ছাপা শাড়ি। এই শাড়ি পড়ার মজাই আলাদা। এই শাড়ি পুরো সুতির এবং বেশ আরামদায়ক হয় তাই এটি বিশেষত ঘরোয়া শাড়ি হিসেবেই ব্যবহৃত হয়।

৬। হ্যান্ডলুম কটন শাড়ি (Handloom Cotton Saree)

হাল আমলে আবিষ্কৃত হ্যান্ডলুম শাড়ি কে ট্র্যাডিশনাল শাড়ি বলা যায় না ঠিকই, কিন্তু আজকাল ফ্যাশান দুনিয়াতে সবার মন জয় করে নিয়েছে এই শাড়ি। ওজনে অনেক হালকা এবং পরনে তুলতুলে নরম বলে আধুনিক যুগে এই শাড়ি প্রত্যেকেরই পছন্দের তালিকাতে এক নম্বরে। বাংলার গ্রামে-গ্রামে এই শাড়ি বোনা হয়। তাঁতিদের জন্য এই শাড়ি বোনা অপেক্ষামূলক ভাবে সহজ বাকি শাড়ির তুলনায় ও কম পরিশ্রমের এবং জনপ্রিয়তা এতটাই বেশি তাই রোজগারও বেশ ভালো হয় এতে।

বিয়ের কনের নিখুঁত সাজের কয়েকটি দারুণ মেকআপ টিপস

প্রত্যেকটি মেয়ের জীবনে তার বিয়ের দিন খুবই স্পেশাল একটা দিন। আর বিয়ের দিনের কেমন পোশাক হবে কেমন মেকআপ, সাজগোজ হবে তাই নিয়ে প্রত্যেকটি মেয়ের মনেই নানা রকম জল্পনা কল্পনা চলতেই থাকে। সকলের মনে একটাই ইচ্ছে থাকে কনে রূপে সেজে তাকে যেন সব চাইতে সুন্দর দেখায়। জীবনের এই নতুন অধ্যায়ের সূচনায় আপনি যাতে সবার চোখে তাক লাগিয়ে দিতে পারেন তাই আজকে আপনার জন্য নিয়ে এসেছি কিছু ব্রাইডাল মেকআপ টিপস ও সাথে কিছু চোখের মেকআপের টিপস ,যা ফলো করলে আপনি নিজেই হয়ে যেতে পারবেন নিজের ব্রাইডাল আর্টিস্ট। চটপট দেখে নিন বিয়ের কনের সাজের দারুণ সব মেকআপ টিপস।

১। মেকআপ পর্ব শুরুর আগে প্রথমে ভালো করে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে তারপর স্ক্রাব ব্যবহার করে স্কিন এক্সফোলিয়েট করে নিন। এবার ভালো করে সারা মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে মেকআপ করা শুরু করুন।

২। প্রথমে আপনার শেড অনুযায়ী প্রাইমার লাগিয়ে নিন। মনে রাখবেন এই প্রাইমারই কিন্তু আপনার পুরো মেকআপের বেস তাই প্রাইমারের প্রয়োগ ঠিক মত না হলে মেকআপ কিন্তু ঠিক মত বসবে না। প্রাইমার আপনার মুখের হালকা রিংকেল থাকলে সেটা দূর করবে। এরপর শেড অনুযায়ী ফাউন্ডেশন বেছে নিন তারপর মেকআপ ব্রাশ বা হাত দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে সারা মুখে,গলায়,ঘাড়ে এবং পিঠে লাগিয়ে নিন।

৩। এরপর কনসিলারের প্রয়োগ। কনসিলার মুখের ব্রণ, দাগ-ছোপ লুকোতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও আপনি চোখের পাতায়, চোখের নিচে বা নাকের দুপাশে ভালো করে কনসিলার প্রয়োগ করতে পারেন।

৪। এরপর চোখের মেকআপ, বিয়ের দিন চোখ যাতে বড় আর উজ্জ্বল দেখায় তার জন্য চোখের আশেপাশে সব ডার্ক সার্কল ঢেকে দিতে ক্রিমযুক্ত কারেক্টর ব্যবহার করুন এবং চোখের নিচের ল্যাশ লাইনে ন্যুড শেড আইলাইনার ব্যবহার করুন। চোখ দুটিকে সাজানোর জন্য ব্রাউন, গোল্ড বা ব্রোঞ্জ শেডের আইশ্যাডো ব্যবহার করুন। গোল্ড শিমার ব্যবহার করলেও ভালো লাগবে। চোখের পাতা ঘন দেখাতে মাস্কারা লাগানোর আগে চোখের পাতা কার্ল করে নিন এবং চোখ আরও সুন্দর দেখাতে চোখের নিচের পাতাতেও মাস্কারা লাগিয়ে নিন।

৫। চোখের মেকআপের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ভুরু। চুলের যা রঙ তার থেকে এক শেড হাল্কা রঙের আইব্রো পেন্সিল দিয়ে ভুরুতে লাগিয়ে ভুরুর শেপ বানিয়ে নিন।

৬। সবশেষে লিপ লাইনিং পেন্সিল দিয়ে আপনি নিজের ইচ্ছে মতো সরু বা মোটা ঠোঁট এঁকে নিন ও ঠোঁটের কোণা দুটি লিপ লাইনার দিয়ে ঠিক করে নিন। তারপর আপনার ড্রেসের সাথে ম্যাচ করে লিপস্টিক লাগিয়ে নিন। একটু ডার্ক শেডের লিপস্টিক লাগাবেন তাহলে সুন্দর লাগবে দেখতে।

আপনার প্রিয়জনকে পাঠান তার জন্মদিনের সেরা শুভেচ্ছা বার্তা ও মেসেজ

বছরে একবার করে প্রতি বছরই আমাদের জন্মদিন আসে। যে দিনটার জন্য আমরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি। কারন জন্মদিন মানেই স্পেশাল একটা সেলিব্রেশন। আর এই জন্মদিনে সকাল সকাল জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা পেতে কার না ভালো লাগে ব্লুন? কিন্তু সেই জন্মদিনটি যদি আপনার প্রিয়জনের হয় তাহলে তো আর কোনো কথাই নেই, সেই দিনটি তার কাছে অত্যন্ত স্পেশাল এবং স্মরণীয় করে তুলতে অনেক কিছুই করার চেষ্টা করে থাকি। আজ আপনাকে সহায়তা করতেই নিয়ে এসেছি প্রিয়জন কে জন্মদিনে পাঠানোর জন্য সেরা শুভেচ্ছা বার্তা। তাহলে চলুন আর দেরি না করে দেখে নি সেরা কয়েকটি জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা ও ম্যাসেজ।

১। সূর্যের মতন উজ্জ্বল হও
সাগরের মতন হও চঞ্চল
আকাশের মতন উদার হও
আর ঢেউ এর মতন হও উচ্ছল
শুভ জন্মদিন !!

২। ফুলে ফুলে ভরে যাক তোমার ভুবন,
রংধনুর মতো সাত রং এ রাঙ্গুক তোমার জীবন
দুঃখ কষ্ট গুলো হারিয়ে যাক দুর অজানার দেশে
তোমার জীবন যেন সুখের সাগরে ভাসে
এই কামনা করি বিধাতার কাছে
জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা !!

৩। স্বপ্ন গুলো সত্যি হোক
সকল আশা পূরণ হোক
দু:খ গুলো দূরে যাক
সুখে জীবনটা ভরে যাক
জীবনটা হোক ধন্য
শুভ কামনা তোমার জন্য
শুভ জন্মদিন !!

৪। শুভ শুভ শুভ দিন আজ তোমার জন্মদিন.
মুখে তোমার দীপ্ত হাসি ফুল ফোটাচ্ছে রাশি রাশি
হাজার ফুলের মাঝে গোলাপ যেমন হাসে
তেমন করে বন্ধু তোমার জীবন যেন সুখের সাগরে ভাসে
শুভ জন্মদিন !!

৫। দিনের শেষে বলছি বটে শুভ জন্মদিন
কিন্তু তোমার কথাই শুধু ভাবছি সারাদিন
তোমায় জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা !!

৬। শুভ ক্ষন, শুভ দিন। মনে রেখো চির দিন
কষ্ট গুলো দূরে রেখো, স্বপ্ন গুলো পুরন করো
নতুন ভালো স্বপ্ন দেখো, আমার কথা মনে রেখো
শুভ জন্মদিন !!

৭। বাইরে তাকিয়ে দেখো কি মনোরম পরিবেশ
তোমার জন্যে সূর্য হাসছে, গাছেরা নাচছে , পাখিরা গান গাইছে
কারণ আমি সবাইকে বলেছি শুভেচ্ছা জানাতে
শুভ জন্মদিন !!

৮। পাঠিয়ে দিলাম ভালোবাসা, অন্তরের অন্তস্থল থেকে
সাথে রইলো শুভেচ্ছা, তোমার জন্মদিনের
শুভ জন্মদিন !!

৯। আমি বন্ধুত্বের সংজ্ঞা জানি না
কিন্তু আমি জানি তুই আমার বন্ধু,
আমার সবথেকে ভাল বন্ধু
শুভ জন্মদিন প্রিয় বন্ধু !!

১০। জন্মদিন মানুষের জীবনের বিশেষ দিনের মধ্যে একটি। আজকের তোমার সেই বিশেষ দিন, জন্মদিনের অসংখ্য শুভেচ্ছা রইলো তোমার জন্য।

১১। সুন্দর এই ভুবনে সুন্দরতম জীবন হোক তোমার
পুরন হোক প্রতিটি স্বপ্ন
প্রতিটি আশা, বেঁচে থাকো হাজার বছর
শুভ জন্মদিন !!

১২। জন্মদিনে কি বা দেব তোমায় উপহার
বাংলায় নাও ভালবাসা
হিন্দি তে নাও পেয়ার
শুভ জন্মদিন !!

লেখাটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই লাইক ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।

প্রজাতন্ত্র দিবস পালনে সেরা কয়েকটি দেশাত্মবোধক গান ও সিনেমার তালিকা

২৬শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস আমাদের মনে একটা আলাদাই জায়গা রাখে। এই দিনে স্কুল কলেজে নানা প্রোগ্রাম করা ছাড়া আমরা নানা গান শুনি, সিনেমা দেখি, লোকজনকে দেশাত্মবোধক মেসেজ পাঠাই! এবার একটু অন্যরকম ট্রাই করুন। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এমন কয়েকটি সিনেমা ও দেশাত্মবোধক গান এর সম্ভার যেগুলি দেখলেই চোখের সামনে ভেসে উঠবে সেই সময়কার লড়াই। তাই আর দেরি না করে এই বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে দেখে ফেলুন এই কয়েকটি দেশাত্মবোধক গান ও সিনেমা, যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস।

জনপ্রিয় কয়েকটি দেশাত্মবোধক সিনেমা

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই নানা ধরনের সংগ্রামী সিনেমার মাধ্যমে স্বদেশচেতনা জাগ্রত করে রেখেছে বলিউডের এই সিনেমা গুলি।

১| বর্ডার (Border)

২| রঙ দে বসন্তি (Rang De Basanti)

৩| দ্য লিজেন্ট অফ ভগৎ সিং (The Legend of Bhagat Singh)

৪| এল ও সি কারগিল (LOC: Kargil)

৫| উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক (URI: The Surgical Strike)

৬| রাজি (Razi)

৭| মঙ্গল পাণ্ডে (Mangal Pandey)

৮| মাদার ইন্দিয়া (Mother India)

৯| দ্য ঘাজি অ্যাটাক (The Ghazi Attack)

১০| স্বদেশ (Swades)

১১। লাগান (Lagaan)

১২। চাক দে ইন্দিয়া (Chak De! India)

১৩। পূরব ওর পশ্চিম (Purab Aur Paschim)

১৪। গদর (Gadar: Ek Prem Katha)

১৫। ভাগ মিলখা ভাগ (Bhaag Milkha Bhaag)

১৬। লক্ষ্য (Lakshya)

ভারতের স্বাধীনতার সঙ্গে জড়িত কয়েকটি বাংলা দেশাত্মবোধক গান

প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন আপনি এই গান গুলো অবশ্যই শুনতে পারেন। এই গান গুলো আমাদের দেশাত্মবোধ জাগ্রত করতে অনেক সাহায্য করে।

১| জন গণ মন অধিনায়ক জয় হে (জাতীয় সঙ্গীত)

২| ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা – কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৩| আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি – কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৪| বাংলার মাটি বাংলার জল – কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৫| ওরে আজ ভারতের নব যাত্রাপথে – কবি কাজী নজরুল ইসলাম

৬| ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা – দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

৭| উঠ গো ভারত লক্ষ্মী, উঠ আদি জগত জন পুজ্যা – অতুলপ্রসাদ সেন

৮| বল বল সবে শত বীণা বেনু রবে, ভারত আবার জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে – অতুলপ্রসাদ সেন

৯| ধন্য আমি জন্মেছি মা তোমার ধূলিতে – সলিল চৌধুরী

১০| কারার ঐ লৌহ কপাট – কবি কাজী নজরুল ইসলাম

লেখাটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। পড়ে ভালো লাগলে লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট অবশ্যই করবেন।

স্বাদে ভরপুর কয়েকটি মাছ রান্নার রেসিপি

বাংলায় একটা প্রবাদ আছে মাছে ভাতে বাঙালি। আসলে সত্যিই তাই মাছ ছাড়া যেন বাঙালির একদিনও চলে না। রোজ সেই একই মাছের ঝোল আর কালিয়া তো খেয়েই থাকেন। আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কয়েকটি দারুন স্বাদের মাছের রেসিপি যা মাংসের স্বাদকেও টেক্কা দিতে পারে।

১। রুই মাছের কোফতা

রুই মাছের কোফতা বানাতে প্রথমে মাছ গুলিকে পরিষ্কার করে লবন ও হলুদ মাখিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর মাছ গুলি হালকা করে ভেজে নিন। ঠাণ্ডা হওয়ার পর মাছগুলো টুকরো করে কেটে এবং তাতে ১/২ চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১টা পেঁয়াজ কুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি ঝাল অনুযায়ী, ১ চা চামচ গরম মশলা পাউডার ও ২ চামচ ধনে পাতা কুচি আর স্বাদ অনুযায়ী লবন দিয়ে মেখে রাখুন। এবারে ছোটো বলের আকারে ভালো করে ভেজে নিন। তারপর অন্য পাত্রে তেল গরম করে প্রথমে তেজপাতা তারপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নাড়াচাড়া করে একে একে তাতে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিন। তারপর গুঁড়ো মশলা এবং নারকেল কোরা মিশিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করার পর যখন মশলা ও তেল আলাদা হয়ে যাবে তখন ওতে গরম জল মিশিয়ে দিন। জল ফুটলে ওতে এক এক করে কোফতা গুলি দিয়ে আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। তারপর গরম গরম পরিবেশন করুন রুই মাছের কোফতা।

২। পমফ্রেট সর্ষে

মাছ গুলো ভালো করে ধুয়ে প্রথমে লবণ ও হলুদ মাখিয়ে তেলে ভালো ভাবে ভেজে তুলে রাখুন। তারপর তেলে সামান্য কালোজিরে ও কাঁচা লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে নাড়াচাড়া করে তাতে সর্ষে বাটা দিয়ে ভালো করে কষুন। এরপর ওতে একে একে লবণ, চিনি, হলুদ, জিরে গুঁড়ো ও একটু জল দিয়ে কষিয়ে ভাজা মাছ গুলো দিয়ে ঢেকে দিন। নামানোর আগে ওপর থেকে সামান্য সর্ষের তেল ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।

৩। ডাব চিংড়ি

ডাবের মুখটা চওড়া করে কেটে নিয়ে ভেতর থেকে জল আর স্বাস বার করে নিন।.তারপর মাথাটা আলাদা করে রেখে দিন। এবারে একটা কড়াইতে তেল গরম করে পাঁচ ফোড়ন দিন। ফোড়ন হয়ে গেলে পেয়াজ এবং রসুন দিয়ে ভাজতে থাকুন, ভাজা হয়ে গেলে একটা বড় মিক্সিং বোলে ভাজা মশলাগুলো ঢেলে নিয়ে তাতে সর্ষে বাটা, লঙ্কা বাটা, হলুদ, নুন, নারকোল বাটা আর ডাবের জল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবারে তাতে চিংড়ি মাছ গুলো এবং পুরো মিশ্রণটাকে ডাবের ভেতরে ভরে মুখ বন্ধ করে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে ঢেকে দিন। মাইক্রোওয়েভ প্রি-হিট করে রাখুন আগে থেকেই প্রি-হিট হয়ে গেলে সাবধানে মাইক্রোওয়েভে দিয়ে ৩০ মিনিট রান্না করুন। ব্যস তারপর রেডি আপনার গরম গরম ডাব চিংড়ি।

সেরা ১০টি ট্রেন্ডি এবং স্টাইলিশ ব্লাউজের ডিজাইন

বাঙ্গালী নারীদের সবচেয়ে পছন্দের পোশাক হলো শাড়ি। পুজো হোক বা বিয়েবাড়ি, স্কুল কলেজে হোক বা ঘরোয়া কোন প্রোগ্রাম – প্রতিটি অনুষ্ঠানে শাড়ি থাকবেই। তবে শুধু শাড়ি সুন্দর হলেই হয় না তার সঙ্গে ব্লাউজের ডিজাইনও মানানসই হতে হয়। যেমন-তেমন ব্লাউজ হলে কিন্তু সুন্দর সাজও মাটি হতে সময় লাগবে না। তাই আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের সাথে শেয়ার করব জনপ্রিয় ১০টি স্টাইলিশ এবং ট্রেন্ডি ব্লাউজের ডিজাইন যা আপনি আপনার পছন্দের শাড়ির সঙ্গে দুর্দান্ত ম্যাচ করে পড়তে পারবেন।

১। হাই নেক ব্লাউজ ডিজাইন

আজকাল ট্রেন্ডি ব্লাউজ গুলোর মধ্যে হাই নেক ব্লাউজ অন্যতম। সব ধরনের চেহারার মহিলারা এই ধরনের ব্লাউজ পরতে পারেন। যেকোনো ভারী কাজের শাড়ি বা নেটের শাড়ির সঙ্গে এই ব্লাউজ আপনি মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে পরতে পারেন। হাই নেক ব্লাউজের সঙ্গে ফুল স্লিভ এবং হাতের কব্জির কাছে সামান্য কুচি দিয়ে বানালেও খুব ভালো মানায়।

২। বোট নেক ব্লাউজ ডিজাইন

বোট নেক ব্লাউজের ডিজাইন সব সময়ই ফ্যাশনেবল লুক আনে। সে সুতির শাড়ি হোক বা দামি বেনারসি, কনট্রাস্ট কালারের থ্রি কোয়াটার বোট নেক ডিজাইনের ব্লাউজ সাথে পড়লে দারুণ মানায়। পেছনে আর হাতার ধার দিয়ে সরু জরির ডিজাইন করা থাকলে আরও ভালো লাগে দেখতে।

৩। ব্যাক নেকলেস ব্লাউজ ডিজাইন

বোল্ড লুক পেতে চাইলে শাড়ির সাথে অবশ্যই ব্যাকলেস ব্লাউজ পরতে পারেন।

৪। কুচি দেওয়া ব্লাউজ

কুচি দেওয়া ব্লাউজের ডিজাইন বহু বছর আগে ভীষণ প্রচলন ছিল। কিন্তু এখন আবার ট্র্যাডিশনাল লুকের সাথে কুচি দেওয়া ব্লাউজ নতুন ভাবে বেশ ভালোই ট্রেন্ড করছে।

৫। ব্রোকেডের ব্লাউজ

ব্রোকেডের ব্লাউজ পরার প্রচলন বহু পুরোনো। জরির কাজ করা বা মিনাকারি করা ব্রোকেডের ব্লাউজ আপনি ম্যচ করে পড়তে পারেন। এটি আপনাকে একটা রয়্যাল লুক দেবে।

৬। স্প্যাগিডি ব্লাউজ

এই ধরনের একটা ব্লাউজ প্রত্যেক মেয়ের কাছেই থাকা উচিত। সাধারণত স্প্যাগিডি ব্লাউজ বোল্ড এবং স্টাইলিশ লুকের জন্য পারফেক্ট।

৭। জ্যাকেট ব্লাউজ

এই ধরনের ব্লাউজ শাড়ির সঙ্গে একটা স্মার্ট লুক এনে দেয়। হালকা শাড়ি তার সাথে ভারী কারুকার্য করা কোট বা জ্যাকেট বেশ ভালো মানায়।

৮। হলটার নেক বা বিকিনি ব্লাউজ

স্টাইলিশ ও ট্রেন্ডি লুকের জন্য এই ধরণের ব্লাউজ একদম পারফেক্ট।

৯। জারদৌসি ব্লাউজ

বিশেষ করে যদি আপনি বেনারসি শাড়ি পছন্দ করেন তাহলে তার সঙ্গে ভারী নকশা করা জারদৌসি ব্লাউজ পরতে পারেন। আর যদি আপনি ভারী কাজের ব্লাউজ পছন্দ না করেন তাহলে এমব্রয়েডারি বা জরির কাজ করা জারদৌসি ব্লাউজ ও পড়তে পারেন।

১০। এগুলো ছাড়াও আপনি চাইনিজ কলার ব্লাউজ, গলাবন্ধ ব্লাউজ, স্কয়ার নেক ব্লাউজ, টিউব স্টাইলের ব্লাউজ ও ট্রাই করতে পারেন।

সব ধরনের চুলের জন্য কয়েকটি সহজ চুল বাধার স্টাইল

মেয়েদের সাজগোজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল চুলের স্টাইল। প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে ঐ একই পনিটেল আর হাই বান ছাড়া অন্য কোনো হেয়ারস্টাইল করার সময়ও তেমন হয়ে ওঠে না। তাই বলে প্রতিদিনই তো আর একই স্টাইলে চুল বাঁধা যায় না। এই একঘেয়েমি কাটানোর জন্য এবং চেহারাতে একটা আলাদা নতুনত্ব ভাব আনতে আজ এমন কয়েকটি সহজ চুল বাধার স্টাইল আপনাদের সাথে শেয়ার করব যেগুলো আপনি খুব সহজে নিজেই করে নিতে পারবেন। তবে যাদের একঢাল চুল নেই, তাঁরাও নিশ্চিন্তে থাকুন। কারণ ছোট, মাঝারি, লম্বা চুল,কোঁকড়া চুল সব রকম চুলেই খুবই সহজে ও ঝটপট করে বেঁধে নেওয়ার মতন হেয়ার স্টাইলের হদিশ দেব যা আপনার রোজকার লুকে একটু হলেও পরিবর্তন আনবে।

১। ফ্রেঞ্চ বেণী (French Braid Hairstyle)

কোঁকড়া কিংবা সোজা যে কোনো চুলেই বেশ ভালো মানায় ফ্রেঞ্চ বেণী। সবার থেকে আলাদা একটু আলাদা স্টাইল চাইলে অবশ্যই ফ্রেঞ্চ বেণী ট্রাই করতে পারেন। ভীষণ আকর্ষণীয় একটা লুক আনে এই চুলের স্টাইল টি। আর স্টাইলটি এত চমৎকার যে এভাবে চুল বেঁধে রাতে ঘুমালে সকালে ওঠার পর ও হেয়ার স্টাইল ঠিক সেরকমই থেকে যায় এলোমেলো হয় না। তাই লম্বা ট্র্যাভেল করার ক্ষেত্রে এই হেয়ারস্টাইল টি বেস্ট অপশন।

২। সাইড ব্রেড (Side Braid)

সাইডে সিঁথি করে চুল আঁচড়ান এবার যে দিকে সিঁথি করেছেন, তার উল্টো দিকে চুল দিয়ে একটা ছোট্টো বিনুনি করে সেটা ক্লিপ দিয়ে আটকে দিন। চাইলে অনেকগুলো ছোট-ছোট বিনুনি করে সেগুলো একসঙ্গে ক্লিপ দিয়ে আটকে দিতে পারেন। যাদের একটু লম্বা চুল তারা বাকি চুল গুলো বেঁধে কিংবা সাধারন বান বানিয়ে নিতে পারেন।

৩। মাঝখানে সিঁথি কেটে হেয়ারস্টাইল (Middle Part Hairstyle)

আজকাল এই হেয়ারস্টাইল টি ভীষণ ভাবে ট্রেন্ড করছে। খুবই সিম্পল হেয়ার স্টাইল কিন্তু সব ধরনের চুলেই এটি দারুণ ক্লাসি একটা লুক তৈরী করে। মাঝখানে সিঁথি কেটে হাই অথবা লো পনিটেল করতে পারেন। দেখতে সুন্দর লাগবে।

৪। রোপ ব্রেড বান (Rope Braid Bun)

এই হেয়ারস্টাইলটি দেখতে অনেকটা দড়ির মতো হয়। প্রথমে ভালো করে ব্যাক কোম্ব করে নিন। এবার মাথার মাঝখান থেকে অল্প চুল নিয়ে বিনুনি করে সেটা পেঁচিয়ে বেঁধে নিন। বাকি যে পরিমাণ চুল ছাড়া আছে, সেখান থেকেও চুল নিয়ে আবার একটা বিনুনি করে পেঁচিয়ে বেঁধে নিন। এভাবে তিন চারটে বিনুনি বেঁধে নিন। এবার প্রথম বিনুনি গুটিয়ে ক্লিপ দিয়ে আটকে দিন। তার নীচে দ্বিতীয় এবং তার নীচে তৃতীয় বিনুনি আটকে গুটিয়ে দিন। এদিক ওদিক থেকে যদি সামান্য চুল বেরিয়ে আসে, তা হলে সেটা দেখতে ভালোই লাগে।

Design a site like this with WordPress.com
শুরু করুন